

বাংলাদেশ দলের এবারের জিম্বাবুয়ে সফরটা বেশ আলোচনায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ইস্যুতে। শুরুতে ঘোষণা করা টেস্ট দলে ছিলেন না তিনি, পরবর্তীতে তাকে যুক্ত করা হয়। তামিম ইকবালের ইনজুরিতে দলে অভিজ্ঞতা বাড়াতে একাদশে সুযোগও মেলে। দলের ভরাডুবির সময় ব্যাট হাতে খেলেন অপরাজিত ১৫০ রানের ইনিংস।
সবাই যখন সাদা পোশাকে মাহমুদউল্লাহর রাজকীয় প্রত্যাবর্তন উদযাপনে ব্যস্ত তখন হারারে থেকে আসে বিস্ময় জাগানিয়া খবর। ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের তৃতীয় দিনের খেলার আগে রিয়াদ জানান এটিই হতে যাচ্ছে তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।
শুরুতে গুঞ্জন মনে হলেও হারারে টেস্টের শেষদিনে যখন মুমিনুল-সাকিবরা মিলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে গার্ড অব অনার দেন তখন নিশ্চিত হন সবাইই, ধারাভাষ্যকারও বলেন রিয়াদ টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন।
যারা এই ঘটনাপ্রবাহ খুব কাছ থেকে দেখেছেন সেই টেস্ট দলের ৫ সদস্য (সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, নাইম হাসান ও ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি) আজ দেশে ফিরেছেন।
বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাদমান ইসলাম। তিনি জানান, আগে থেকে তারা জানতেন না মাহমুদউল্লাহর অবসরের ব্যাপারে।
সাদমান বলেন, ‘আমরা জানতাম না যে রিয়াদ ভাই এমন কিছু বলবেন। উনি বলার পর আমাদের ভালো করার ইচ্ছাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল যে ওনার জন্য হলেও ম্যাচটা জিততে হবে।’
‘এমনি হঠাৎ শুনতে পেরেছিলাম যে রিয়াদ ভাইয়ের মনে হয় এটাই শেষ টেস্ট। এরপর ম্যাচের একটু আগে জানতে পারি উনি আর খেলবেন না।’
মন খারাপ হলেও সাদমানরা চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ’র শেষ ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখতে।
‘তা তো অবশ্যই (মন খারাপ)। উনি আমাদের দলের জন্য যা করে গিয়েছেন তাই ওনার কারণে সবাই একটু মন খারাপ করেছিলাম, যে করেই হোক শেষ ম্যাচটা উনার জন্য খেলতে হবে’।
অন্য সবার মত সাদমানরাও হুট করে জেনেছেন রিয়াদের অবসর নেবার খবর। ড্রেসিং রুমে হুট করেই রিয়াদ জানিয়েছিলেন তাদের। এরপর গার্ড অব অনার, রিয়াদকে রঙিন বিদায় দিতে মাঠে সবটুকু নিংড়ে দেবার কাজটা করেছেন সাদমানরা।
‘আমরা তো অবশ্যই জানতাম না এটা ওনার শেষ ম্যাচ। রিয়াদ ভাই হুট করে ড্রেসিং রুমে আমাদের জানিয়েছেন। এরপরই সবাই চিন্তা করেছি যে রিয়াদ ভাইয়ের জন্য খেলব। সবার ইচ্ছে ছিল শেষ মুহূর্তটা ওনাকে উৎসর্গ করব। আমরা সেভাবেই করেছি।’