

একেবারে আনকোরা এক দল নিয়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিল ইংল্যান্ড। প্রথমবারের মত ওয়ানডে অধিনায়কত্ব করা বেন স্টোকস বলছেন কাজটা এত সহজ হবে ভাবেননি নিজেও।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই ইংল্যান্ড স্কোয়াডের কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ করোনা পজিটিভ হয়। ফলে পুরো দলকেই পাঠানো হয় আইসোলেশনে, তবে তাতে থেমে থাকেনি নির্ধারিত সময়ের সিরিজ।
বেন স্টোকসকে অধিনায়ক করে ১৮ সদস্যের আলাদা দল ঘোষণা করে ইসিবি (দ্য ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড)। ১৮ সদস্যের ওয়ানডে দলে ৯ জন আনক্যাপড ক্রিকেটার।
অথচ প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ৫২ রানে হারিয়ে পাকিস্তানকে কোনো সুযগই দেয়নি ইংলিশরা। আগামীকাল তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেছেন অধিনায়ক বেন স্টোকস।
এই ইংলিশ অলরাউন্ডার দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, ‘আমি অন্যদিন এটা নিয়ে ভাবছিলাম। আমাকে যখন স্কোয়াডের মাধ্যমে পাঠানো হল, আমি পড়ছিলাম এবং এমনকি এটা শেষ মুহূর্তের বায়পার ছিল, আমি ভেবেছি আমাদের একটা শক্তিশালী ও প্রতিভাবান স্কোয়াড হয়েছে। আর আমি জানতাম আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করতে পারবো।’
‘কিন্তু এটা মিথ্যা বলা হবে যদি আমি বলি আমরা যত সহজে কাজটা শেষ করেছি তা দেখে বিস্মিত হইনি। এটা এখানে যারা ছিল তাদের প্রত্যেকের কৃতিত্ব। আর এটা মানসিকতার প্রতিচ্ছবি যে ইংল্যান্ড যখন সাদা বলের ফরম্যাটে আধুনিক ক্রিকেট খেলে শুধু যাও আর নিজেকে মেলে ধর। আর উপলক্ষ্য নিয়ে ভাবার দরকার নেই শুধু নিজের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেল।’
‘এই সিরিজ থেকে পাওয়া দুর্দান্ত জিনিসগুলোর একটা হল অনভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা বেরিয়ে এসেছে এবং পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ দলটির বিপক্ষে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, আগামীকাল বার্মিংহামের এজবাস্টনে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে মাঠে গড়াবে। যেখানে সফরকারী পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করা সুবর্ন সুযোগ অনভিজ্ঞ ইংলিশদের। এরপর ৬ জুলাই থেকে মাঠে গড়াবে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ।