

হারারে টেস্টে জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশে। তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের তোপে বেশ কয়েকটি ক্যাচ মিসের পরেও নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন আর মাত্র তিন উইকেট। বড় হার অপেক্ষা করা জিম্বাবুয়েকে অন্তত ড্র করতে লেজের ব্যাটসম্যানদের কাটাতে হবে আরও দুই সেশন।
পঞ্চম দিন লাঞ্চের আগে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৭৬ রান। জিততে হলে বাকি দুই সেশনে ৬৩ ওভারে করতে হবে আরও ৩০১ রান। ডোনাল্ড টিরিপানো ২৭ ও ভিক্টর নিয়াউচি ২ রানে অপরাজিত আছেন।
৩ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করে জিম্বাবুয়ে। ৮ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ডিওন মেয়ার্স ১৮ ও নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা ডোনাল্ড টিরিপানো ৭ রান নিয়ে আজ ক্রিজে আসেন।
আজ দিনের প্রথম কয়েক ওভার ভালোই সামলে নিচ্ছিল দুজনে। তবে ধীরে ধীরে টাইগার বোলিং আক্রমণের সামনে অসহায় হতে শুরু করে। ক্যাচ মিসের মহড়ায় জুটি ভাঙতে খানিক বিলম্ব হয়েছে কেবল। তবে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানরা।
সাকিবের করা ৫০তম ওভারে উইকেটের পেছনে মেয়ার্সের ক্যাচ মিস করেন লিটন দাস। মেয়ার্স তখন ব্যাট করছিলেন ২২ রানে। যদিও উইকেটের এত কাছে দাঁড়িয়ে এমন ক্যাচ গ্লাভস বন্দী করা বেশ কঠিন কাজই ছিল লিটনের জন্য। নামের পাশে আর এক রান যোগ করে আবারও ক্যাচ দেন, তবে এবার ফিরতি ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ।
মিরাজের করা ৫৬তম ওভারে স্লিপে ডোনাল্ড টিরিপানোর ক্যাচ মিস করেন সাকিব। আগেরদিন নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা টিরিপানো তখন ব্যক্তিগত ১৮ রানে। ফলে ৩ রানের ব্যবধানে মেয়ার্স-টিরিপানোর ৩ টি ক্যাচ মিস করে বাংলাদেশ।
তবে ২২ ও ২৩ রানে দুইবার জীবন পেয়েও মেয়ার্স আর কোনো রানই যগ করতে পারেননি। ৫৮তম ওভারে মিরাজের প্রথম বলে শর্ট মিড উইকেটে ধরা পড়েন সাদমান ইসলামের হাতে।
একই ওভারে মিরাজ এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নতুন ব্যাটসম্যান টিমিসেন মারুমাকে (০)। এরপর তাসকিন পরপর দুই ওভারে ফেরান রয় কায়া (০) ও রেগিস চাকাবভাকে (১)। কায়া এলবিডব্লিউর শিকার হলেও ভেতরে ঢোকা বলে
চাকাবভার স্টাম্প উপড়ে দেন তাসকিন।
তাসকিন-মিরাজের ১৮ বলে ৫ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩ উইকেটে ১৫৯ থেকে ৭ উইকেটে ১৬৪ রানে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ে।
নিজের করা পরের ওভারেও উইকেটের দেখা পেতে পারতেন তাসকিন। ভিক্টর নিয়াউচির স্টাম্প ভেঙে দিলেও নো বলের কারোনে বঞ্চিত হন উইকেট। পরের বলে কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদনে অবশ্য সাড়া দেয়নি আম্পায়ার।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেতে ১৭৬ রানে লাঞ্চে যায় স্বাগতিকরা। ৮৫ বলে ৩ চারে ২৭ রানে টিরিপানো ও ২৫ বলে ২ রানে অপরাজিত নিয়াউচি। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট তাসকিন ও মিরাজের। সাকিব তুলে নেন একটি।