

প্রায় দুই বছরে ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক মিলিয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি সাদমান ইসলাম। জিম্বাবুয়ে সফরের আগে সর্বশেষ লঙ্গার ভার্সন খেলেছেন জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে। হারারে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে অবশ্য সেই ছাপ ছিল না। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক উৎসর্গ করলে বাবা-মাকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ফিফটি হাঁকিয়ে চোটে পড়ে সিরিজই শেষ হয়ে যায় সাদমানের। শুধু টেস্ট খেলেন বলে নিজেকে প্রস্তুত রাখার মঞ্চ খুঁজে পেতে ভুগতে হয়েছে তাকে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) সেই সুযোগ আসলেও এবার পজিটিভ হন করোনা টেস্টে। যে কারণে শ্রীলঙ্কা সফরে প্রস্তুতির ঘাটতি দেখিয়ে তাকে খেলায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান টেস্টে তামিম ইকবালের না থাকায় বাড়তি দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। প্রথম ইনিংসে শুরুর বিপর্যয় কাটানো মুমিনুল হকের সাথে ৬০ রানের জুটি। আর দ্বিতীয় ইনিংসেতো হাঁকালেন সেঞ্চুরিই।
সাদমানের সাথে নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ৪৭৭ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল বাংলাদেশ। ১৯৬ বলে ৯ চারে সাদমান অপরাজিত ছিলেন ১১৫ রানে। ক্যারিয়ারের ৮ম ম্যাচে এসে পেলেন প্রথম সেঞ্চুরির দেখা।
দিন শেষে বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জানালেন সেঞ্চুরি উৎসর্গ করছেন বাবা-মাকে, ‘কাল এক ঘণ্টা ব্যাট করে অপরাজিত ছিলাম। তবে আজ সকালে পরিকল্পনা করি বল বাই বল ব্যাটিং করার। আল্লাহর কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া আজকে সেঞ্চুরির দেখা পেলাম। ভালো লাগছে, দলেরও উপকার হয়েছে, বড় সংগ্রহ এনে দিতে পেরেছি। এই শতকের জন্য আমার সতীর্থ ও কোচদের অনেক সমর্থন ছিল। এই শতক আমার আব্বু-আম্মুকে উৎসর্গ করছি।’
আগের দিন সাইফ হাসানকে নিয়ে ৪৫ রানে অবিচ্ছেদ্য ছিলেন, নিজে অপরাজিত ছিলেন ২২ রানে। আজ সাইফ ৪৩ রান করে ফিরেছেন জুটিকে ৮৮ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে। এরপর শান্তকে নিয়ে ১৯৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি সাদমানের, ১ উইকেটে ২৮৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। শান্ত অপরাজিত ছিলেন ১১৭ রানে।
শান্তর সাথে জুটিতে কি আলাপ হয়েছিল জানাতে গিয়ে ২৬ বছর বয়সী সাদমান বলেন, ‘সাইফের সাথে কালও এক ঘণ্টা ব্যাটিং করেছি। আজ সকালেও ভালো ব্যাটিং করছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত সাইফ আউট হয়ে গেছে। শান্তর সাথে ব্যাটিং করার সময় ও বলল যেভাবে চলছে এভাবেই খেলতে থাকি। লাঞ্চের কিছুক্ষণ আগে শান্ত বলল যেটা মারার সেই বলে সুযোগ নিব আর স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে থাকি ভালো সংগ্রহ দাঁড়াবে।’
বাংলাদেশের দেওয়া ৪৭৭ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ১৪০ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের প্রয়োজন আরও ৩৩৭ রান , বাংলাদেশের দরকার ৭ উইকেট। সাদমানের বিশ্বাস এখান থেকে বাংলাদেশ জয়ই পাবে।
তিনি বলেন, ‘আশা করি আমরা যে সংগ্রহ দাঁড় করেছি ইন শা আল্লাহ খুব ভালো অবস্থায় আছি। আগামীকাল এরকম টাইট বোলিং করলে দ্রুত ম্যাচ জিতব ইন শা আল্লাহ।’