

মুশফিকুর রহিমের চোট সংক্রান্ত দুঃসংবাদ যেন থামছেইনা। আঙুলে ‘হেয়ারলাইন ফ্রাকচার’ নিয়ে মিস করেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগ পর্ব। হারারে টেস্টের আগে ফিট হয়ে মাঠে নেমেও আরেক দফা চোটে পড়লেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগে তাকে নিয়ে ছিল শঙ্কা। যদিও শেষ মুহূর্তে ফিট হয়েই মাঠে নেমেছিলেন। ব্যাট করার সময়ই পেয়েছেন নতুন করে চোট। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে পেসার রিচার্ড এনগারাভার শর্ট বল খেলতে গিয়ে ব্যথা পান ডান হাতের তর্জনী আঙুলে।
এরপর ক্রিজেও বেশিক্ষণ টিকেননি, ১১ রান করে ফিরেছেন সাঝঘরে। পরে দলের ফিল্ডিংয়ের সময়ও দেখা যায়নি মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবির) মেডিকেল বিভাগ বলছে হাতে সেলাই লাগেনি মুশফিকের।
শঙ্কার কিছু না থাকলেও আগের চোট এবং নতুন চোট মিলিয়ে সাবধানী পথেই হাঁটতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। চলমান টেস্টে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মুশফিককে ব্যাটিংয়ে নাও দেখা যেতে পারে।
মুশফিকের চোট প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ‘ক্রিকেট৯৭’ কে বলেন, ‘মুশফিকের হাতের যে চোট তা ফিজিও এবং দলের সাথে থাকা চিকিৎসক দেখভাল করছে। ব্যাটিং করার সময় নতুন করে এই চোট পেয়েছে। সেলাই লাগেনি, যতটুকু তথ্য পেয়েছি তার ড্রেসিং করা হচ্ছে নিয়মিত। যেহেতু সেলাই লাগেনি সেহেতু বলাই যায় খুব গুরুত্বর কিছু না।’
এদিকে জিম্বাবুয়েতে দলের সাথা থাকা চিকিৎসক মনজুর হোসাইন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। ক্রিকেটারদের চোট ইস্যুতে এমন লুকোচুরি অবশ্য এবারই প্রথম নয়। হারারে টেস্ট থেকে ছিটকে যাওয়া তামিম ইকবালের চোট নিয়েও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বেশ জল ঘোলা হয়েছিল।