

নিয়মিত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস ও অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিনকে ছাড়াই আগামীকাল (৭ জুলাই) বাংলাদেশের বিপক্ষে হারারে টেস্টে মাঠে নামবে জিম্বাবুয়ে। দুজনেই পরিবারের করোনা পজিটিভ সদস্যের সংস্পর্শে গিয়ে বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর অবশ্য তরুণদের নিয়েই আশাবাদী। বিশেষ করে ঘরের মাঠের বাউন্সি উইকেটে পরীক্ষা নিতে চান টাইগারদের।
বাংলাদেশ হারারেতে পৌঁছেছে এক সপ্তাহ হল। আগামীকাল ম্যাচ সামনে রেখে আজ (৬ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এসেও টাইগার দলপতি মুমিনুল জানিয়েছেন উইকেট দেখার সৌভাগ্য হয়নি তাদের। ফলে কেমন একাদশ আর আক্রমণ নিয়ে মাঠে নামবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে উইকেট দেখার পর।
অবশ্য স্বাগতিক কাপ্তান ব্রেন্ডন টেইলর নিজেও উইকেট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেননি। যদিও চাইছেন জিম্বাবুয়ের স্বভাবঅজাত পেস বান্ধব বাউন্সি উইকেট। কারোন বাংলাদেশের শক্ত স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে স্লো উইকেট বানিয়ে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারতে চায়না জিম্ববাবুয়ে দলপতি।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টেইলর বলেন, ‘অবশ্যই আমরা চাইব ফাস্ট ও বাউন্সি উইকেট পেতে, ওদের ব্যাটের কানা খুঁজে নিতে। চাইব না যেন বেশি মন্থর হয়, তাহলে তা ওদের পক্ষে চলে যাবে। ওরা অভিজ্ঞ ও মানসম্পন্ন দল। ঘরের কন্ডিশনের ব্যাপারটিই এমন। আশা করি, তা আমাদের পক্ষে থাকবে। তবে এসব সামলানোর জন্য যথেষ্ট ভালো দল ওরা। কাজেই আমরা জানি, খুব ভালো দলের বিপক্ষে লড়তে হবে আমাদের।’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মাঠের পারফরম্যান্সে দূরত্ব বেড়েছে বেশ। বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে জিম্বাবুয়ের জন্য। তবে ৮ বছর পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশকে ছেড়ে কথা বলতে চাচ্ছেনা অধিনায়ক টেইলর। পরিসংখ্যানও অবশ্য বলছে নিজেদের কন্ডিশনে জিম্বাবুয়ে ভালো পরীক্ষাই নিতে পারে বাংলাদেশের।
জিম্বাবুয়ে দলপতি জানান, ‘এটি বেশ প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হতে যাচ্ছে, বিশেষ করে আমাদের হোম কন্ডিশন বলে। আমরা আমাদের কন্ডিশন বেশ ভালোই বুঝি। নিজেরদের মাঠে খেলা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। আশা করি আমরা আমাদের কন্ডিশনের সুবিধা নিতে পারবো। আমাদের একটি তরুণ প্রাণবন্ত দল রয়েছে আর তা নিয়েই এগিয়ে যেতে মুখিয়ে আছি।’