

করোনাকালীন ক্রিকেট মানেই বায়ো-বাবল। ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, গত এক বছর ধরে বায়ো-বাবল হয়ে পড়েছে নিয়মিত বিষয়। দেশে কিংবা দেশের বাইরের পার্থক্য বোঝার সুযোগ মিলছেনা টাইগার ক্রিকেটারদের, পরিবার থাকছে দূরেই। বর্তমানে জিম্বাবুয়ে অবস্থান করা বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ বলছেন দেশের জন্য খেলেন বলে এসব কঠিন মানসিক ধকলও সামলে নিচ্ছেন।
এদিকে ফিটনেস ইস্যুতে তাসকিন বর্তমানে দেশের ক্রিকেটে অন্যতম উদাহরণ। কঠোর পরিশ্রমে সাফল্য পেয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। ডানহাতি এই পেসার বলছেন দলের বাকিরাও ফিটনেস ইস্যুতে বেশ সচেতন, কাউকে বলে দিতে হয়না করণীয় সম্পর্কে।
জিম্বাবুয়েতে সবার আগে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ মাঠে গড়াবে। ফলে টাইগারদের টেস্ট স্কোয়াডই প্রথম দফায় দেশ ছাড়ে। দুইদিন অনুশীলন শেষে আজ (৩ জুন) নামবে দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে।
তার আগে এক ভিডিও বার্তায় তাসকিন জানালেন টানা বায়ো-বাবলে থেকে হাঁপিয়ে উঠার উপক্রম। তবে দলকে জয় এনে দেওয়ার জন্যই মাঠে নামেন, মানসিক বাঁধা দূর করে এগিয়ে যান।
‘আসলে বায়ো বাবল জীবনটা এতটা সহজ নয়। আমরা যখন হোম সিরিজও খেলেছি, ঢাকায় থেকেও পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়। আর দেশের বাইরের সিরিজেও। আসলে ঘরে-বাইরে সব সিরিজেই এখন বায়ো বাবলের মধ্যে থাকে। একটা মানসিক অবসাদের মধ্যেই থাকি।’
‘তার মধ্যে খেলার তো একটা চাপ থাকেই। এটা আসলে তেমন সহজ না। তারপরও যেহেতু আমরা দেশের জন্য খেলি… সবকিছু ছেড়ে নিজের সেরাটা দিয়েই ভালো করতে চাই এবং দেশকে জয় উপহার দিতে চাই।’
তাসকিনের ফিটনেস ইস্যুতে সিরিয়াস হওয়াটা প্রভাব ফেলেছে দলেও। ২৬ বছর বয়সী এই ডানহাতি জানালেন কাউকেই আলাদা করে বলতে হয়না তার কি করা উচিৎ।
এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘আল্লাহ্র রহমতে আমাদের দলের সবাই এখন ফিটনেস নিয়ে সচেতন এবং সবাই বাড়তি কাজ করে। আমি নিশ্চিত কাউকে ঠেলতে হয় না যে এটা করো, ওটা করো। সবাই নিজের থেকেই নিজেরটা করছে। যেটা পেশাদার অ্যাথলেটদের আচরণে থাকা প্রয়োজন সেটাই আছে।’
‘কিন্তু এখনো আমাদের যারা নতুন, যারা আসবে ভবিষ্যতে বা অনূর্ধ্ব-১৯ খেলছে, তারা যদি এখন থেকেই প্রক্রিয়াটায় শক্ত হয় এবং মানিয়ে চলা শুরু করে, তাহলে ওদের হয়তো সামনের দিনগুলো সহজ হবে।’