

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই ক্রিকেটার আমির হায়াত ও আশফাক আহমেদকে সবধরণের ক্রিকেট থেকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল)। আইসিসির এন্টি করাপশন ট্রাইবুনাল তাদেরকে কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙায় দোষী সাব্যস্ত করেছে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আইসিসি। এই দুই ক্রিকেটারের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ারে তাদের অসদাচরণের কারণে তখন তাদের প্রোভিশনালি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
শুনানি, লিখিত ও মৌখিক তর্ক শেষে ট্রাইবুলান আমির ও আশফাককে দোষী সাব্যস্ত করেছে কয়েকটি কোদ অব কন্ডাক্ট ভাঙায়।
অনুচ্ছেদ নম্বর ২.১.৩- কোন ঘুষ বা অন্য কোন পুরষ্কার চাওয়া, গ্রহণ করা, কাওকে দেওয়া বা গ্রহণ করতে একমত হওয়া- ক. কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফল অসৎভাবে বদলে দেবার জন্য প্রভাব ফেলতে বা খ. আন্তর্জাতিক ম্যাচের কোন এক নির্দিষ্ট ঘটনার বেটিং নিশ্চিত করতে।
অনুচ্ছেদ নম্বর ২.৪.২- এন্টি করাপশন ইউনিটকে কোন দেরি না করে কোন উপহার, পেমেন্ট, আতিথ্য বা অন্য কোন সুবিধা নেবার তথ্য জানাতে ব্যর্থ হওয়া- ক. যা তিনি জানেন যে তাকে কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙে এমন কিছু করতে দেওয়া হয়েছে বা খ. যা তাকে দেওয়া হয়েছে এবং তা তাকে বা ক্রিকেট খেলার রেপুটেশনে আঘাত করে।
অনুচ্ছেদ নম্বর ২.৪.৩- এন্টি করাপশন ইউনিটকে কোন দেরি না করে কোন গিফট বা আতিথ্য বা কোন চুক্তির বাইরে সুবিধা (৭৫০ মার্কিন ডলারের চেয়ে বেশি) পাবার কথা জানাতে ব্যর্থ হওয়া।
অনুচ্ছেদ নম্বর ২.৪.৪- এন্টি করাপশন ইউনিটকে কোন দেরি না করে অসৎ প্রস্তাব বা আমন্ত্রণের কথা জানাতে ব্যর্থ হওয়া।
অনুচ্ছেদ নম্বর ২.৪.৫- এন্টি করাপশন ইউনিটকে কোন প্রমাণ যা অন্য কারো অসদাচরণ প্রমাণে কাজে লাগত তা দিতে ব্যর্থ হওয়া।
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার (ইন্টেগ্রিটি ইউনিট) অ্যালেক্স মারশাল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমির ও আশফাক দুজনেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলেছে লম্বা সময় ধরে। তাদের ম্যাচ ফিক্সারদের প্রলোভন সম্পর্কে জানা উচিত’
‘তারা দুজনে বেশ কয়েকটি এন্টি করাপশন এডুকেশন সেশনে অংশ নিয়েছেন এবং জানেন কিভাবে অসৎ কোন আমন্ত্রণ এড়িয়ে যেতে হয়। তারা সেটা পারেননি এবং তাদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের সতীর্থদের নিচু করেছে। তাদের নিষেধাজ্ঞা অন্যদের ক্ষেত্রে ওয়ার্নিং।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে আমির হায়াত ৯ টি ওয়ানডে ও ৪ টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। আশফাক আহমেদ খেলেছেন ১৬ ওয়ানডে ও ১২ টি টি-টোয়েন্টিতে।