

২০১৫’তে অভিষেকের পর থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিঃসন্দেহে আফগানিস্তানের সবচেয়ে পরিচিত ও সেরা ক্রিকেটার রাশিদ খান। বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে নিয়মিত খেলেন রাশিদ খান। আফগান এই স্পিনার আইপিএলে মাতান সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের জার্সিতে। রাশিদ খান নিজেই এবার বললেন, আইপিএলের কারণেই তাঁর পরিচিত বেড়েছে। এবং আইপিএলই তাঁকে আলাদা ধরনের বোলার বানিয়েছে।
২০১৭ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই আইপিএলের নিলামে ৪ কোটি রুপি দিয়ে রাশিদ খানকে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। এই মৌসুমেই আফগানিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে রাশিদ খানের অভিষেক ঘটেছিল আইপিএলে। এরপর থেকেই তাঁকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। কিন্তু রাশিদ থাকেন হায়দ্রাবাদেই।
সময়ের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে এ পর্যন্ত খেলেছেন ৬৯ ম্যাচ। উইকেট দখলে নিয়েছেন মোট ৮৫টি। ইকোনমি রেট মাত্র ৬.২৩! যা আইপিএলের ইতিহাসে সেরা বোলিং ইকোনমি। সময়ের পরিবর্তনে রাশিদ খান হয়ে ওঠেন গেম চেঞ্জার ক্রিকেটার। তাঁর অসাধারণ অলরাউন্ড প্রতিভা ও ম্যাচ জয়ী পারফর্ম্যান্স মুগ্ধ করেছে সবাইকে।
রাশিদ খান সম্প্রতি ক্রিকবাজের এক শো’তে বলেছেন, বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপে তিনি কেবল শক্ত প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে পেরেছিলে। তবে আইপিএল তাঁকে বিশ্বের সেরা সব ক্রিকেটারদের সাথে ড্রেসিংরুম ভাগ করতে সুযোগ করে দিয়েছিল এবং এই প্রতিযোগিতা থেকেই তিনি তাঁর সেরাটা পেয়েছেন।
আইপিএলে সুযোগের আগের সময়টা নিয়ে রশিদ খান বলেন,
‘তখন আমার খুব বেশি এক্সপোজার ছিল না, বড় দলগুলির বিরুদ্ধে খুব কমই কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল এবং বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপের সময়ই আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম।’
‘২০১৭ সালে, আমি যখন আইপিএলে এসেছি, তখন থেকেই আমার ক্রিকেট অনেকটা বদলে গেছে, তা ফিটনেস, দক্ষতা বা মানসিক দিকই হোক। বড় খেলোয়াড়রা আমার সম্পর্কে কী ভাবেন সে সম্পর্কে আমার খুব বেশি ধারণা ছিল না। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে আসার পর, আমি টম মুডি, ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং মুত্তিয়া মুরালিধরনের সাথে কথা বলতে পারি। তাঁরা আমাকে যা বলেছিল তা ভালই লাগছিল। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, এটি আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করেছিল।’
আইপিএলে খেলা তার খেলার উন্নতি এবং খেলার মানসিক দিক উন্নতি করতে সহায়তা করেছিল।
‘আইপিএলের পর আমি আলাদা বোলার হয়েছি। আমি বড় খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলেছি এবং দুর্দান্ত পারফর্ম করেছি, যা আমাকে আমার দক্ষতায় বিশ্বাসী করে তুলেছে।’