

জাতীয় দলের বাইরে পাইপলাইন শক্ত রাখা কিংবা বাদ পড়াদের ফিরে আসার সুযোগ দিতে ক্রিকেটের শীর্ষ দলগুলো ‘এ’ দল পরিচালনা করে মসৃণভাবে। যেখানে বাংলাদেশ ‘এ’ দল নামে থাকলেও কার্যক্রমে বেশ ঢিলেঢালাভাব চোখে পড়ে। বছর জুড়ে ছিল না কোনো পরিকল্পনা, কালে ভদ্রে একটা স্কোয়াড তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হত ট্যুরে। মূলত ‘এ’ দল পরিচালনার ভার ছিল বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের।
‘এ’ দলের কার্যক্রমে অধারাবাহিকতা থেকেই এবার বিসিবি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টাইগার নামে ছায়া দল। উদ্দেশ্য অনেকটা একই, তবে এখানে কার্যক্রম ঢেলে সাজাতে চায় দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সারা বছর ধরেই একটা প্রক্রিয়ায় পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে ক্রিকেটারদের।
তবে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের ধারণা ‘এ’ দল ঠিকঠাকভাবে পরিচালিত হলে ছায়া দল গঠন করে বিকল্প প্রস্তুতের কাজ করতে হত না। বাংলাদেশ টাইগার দেখভালের দায়িত্ব যাদের হাতে তাদের একজন খালেদ মাহমুদ সুজন। বিসিবির এই পরিচালক অবশ্য ‘এ’ দল ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানকে সরাসরি দায়ী করতে নারাজ।
যদিও একটু কৌশলী উত্তরে ঠিকই জানান দিলেন আকরাম আরেকটু সময় দিতে পারলে ‘এ’ দল, ছায়া দল নিয়ে আলাদা প্রকল্প হাতে নিতে হতনা। ক্রিকেটারদের সাথে আকরামের দূরতত্বের কথাও তুলে ধরেন সুজন।
আজ (২৮ জুন) সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমি এখানে কাউকে দোষারোপ করতে আসিনি। আমরা তো সবাই বোর্ড। আজকে আকরাম ভাই, দুর্জয়, ইনাম ভাই, তানজিল চৌধুরী সবাই কিন্তু আমরা বিসিবি। আমাদের সবার কিন্তু একই দায়িত্ব। বিসিবি পরিচালক হিসেবে আপনার কাজটা কি? ক্রিকেটের উন্নয়ন করা, বিসিবিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়ন করাই আমাদের কাজ। আমরা যে যে সেক্টরেই থাকি না কেন।’
‘আজকে আমি ডেভলপমেন্ট আছি কালকে হয়তো গ্রাউন্ডস কমিটিতে চলে যেতে পারি মাহবুব ভাইয়ের জায়গায়। সুতরাং সবাই সবার দায়িত্বেই থাকে। আমার মনে হয় খেলোয়াড়দের আকরাম ভাইয়ের সাথে সেভাবে দেখাও হয়না কারণ আকরাম ভাই যে বোর্ডে কখন আসছেন… সব সময় যে আসেন তাও কিন্তু না। আমিতো মাঠের লোক মাঠে থাকি, বোর্ডে যাই। সবার সাথে দেখা হয় কথা হয়। আকরাম ভাই হয়তো ব্যস্ত থাকে, উনার ব্যবসা আছে। উনার অনেক ব্যস্ততা থাকে তারপরেও অনেক চেষ্টা করেন সবাই দেন।’
‘কিন্তু হয়তো খেলোয়াড়দের সাথে ওই সময় উনার দেখা হয়না। আমার সাথে যেভাবে খোলামেলা কথা বলতে পারে সেটা হয়তো আকরাম ভাইয়ের সাথে পারেনা, ঐ সম্পর্কটা গড়ে ওঠেনা। যেকোনো টপিক নিয়ে আমাকে বলতে পারে, ঐ সময় আকরাম ভাইকে তো তারা পায়না। তো এটাই হয়তো কারণ হতে পারে (‘এ’ দলের কার্যক্রমে ঢিলেঢালাভাবের)। আমার মনে হয় আকরাম ভাই যথেষ্ট সময়ই দেয় এরপরেও। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে কিভাবে উন্নতি করবেন চেষ্টা করেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পর এখনো কোনো কার্যক্রম নেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। সেবার ঘরের মাঠে আফগানিস্তান ‘এ’ দলকে আথিতেয়তা দিয়েছিল বিসিবি। এমনকি ‘এ’ দলের জন্য বোর্ডের ক্রিকেট ক্যালেন্ডারেও কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। কোন ক্যাম্প কিংবা নির্দিষ্ট কোচিং স্টাফতো বেশ বড় ব্যাপার।