

দানিশ আজিজের দাপুটে ব্যাটিংয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চ্যাম্পিয়ন করাচি কিংস। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে তারা হারিয়েছে ১৪ রানে। পয়েন্ট টেবিলের ৪র্থ স্থানে থেকে প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাবর আজমের দল। অন্যদিকে কিংসের এ জয়ের ফলে ৪ দলের সাথে সমান ১০ পয়েন্ট নিয়েও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে লাহোর কালান্দার্সকে।
মাত্র ১৩ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে ৪৫ রান করেন দানিশ আজিজ। নিজেদের ইনিংসের ১৯ তম ওভারে জ্যাক উইল্ডারমুথের বিপক্ষে ৩৩ রান নেন তিনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পান তিনি। তার এই অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের সুবাদে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় করাচি কিংস। এছাড়াও শারজিল খান ৪৫ ও চ্যাডউইক ওয়ালটন ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে অভিষিক্ত আরিশ আলি খান ৪টি উইকেট নেন।
পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করে টুর্নামেন্ট থেকে আগেই বিদায় নেওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্স দলে ৫টি পরিবর্তন এনেও জয়ের ধারায় ফিরতে পারেনি। মোহাম্মদ ইলিয়াস ও আরশাদ ইকবালের বোলিং দ্বৈরথে ১৬২ রানে থেমে যেতে হয় গ্ল্যাডিয়েটর্সকে। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ৫১ রানে অপরাজিত থেকে একাই লড়ে গেলেও জয়ের কিনারায় দলকে নিয়ে যেতে পারেননি। জ্যাক উইল্ডারমুথ ২৫ এবং হাসান খান করেন ২৪ রান।
কিংসের মোহাম্মদ ইলিয়াস ৩টি ও আরশাদ ইকবাল ২টি উইকেট নেন।
এর আগেই প্লে অফ নিশ্চিত করে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড, মুলতান সুলতান্স এবং পেশোয়ার জালমি।
২১ জুন প্রথম এলিমিনেটরে পেশোয়ার জালমির মুখোমুখি হবে করাচি কিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
করাচি কিংসঃ ১৭৬/৭ (২০), শারজিল ৪৫, বাবর ২৩, গাপটিল ৫, নাজিবুল্লাহ ১২, ওয়ালটন ৩৪*, ইমাদ ৩, দানিশ ৪৫, ইলিয়াস ১; নাসিম ২-০-১৫-০, উইল্ডারমুথ ৩-০-৫৩-০, শেহজাদ ৩-০-২৫-১, নাসির ৪-০-১৫-১, হাসান ৪-০-৪০-০, আরিশ ৪-০-২৮-৪
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সঃ ১৬২/৬ (২০), উইদারাল্ড ২৫, আইয়ুব ১৯, উসমান ১৫, সরফরাজ ৫১*, আজম ১৫, হাসান ২৪, নাসির ০, উইল্ডারমুথ ৮*; ইমাদ ৪-০-৩৪-০, আমির ৪-০-২১-০, ইলিয়াস ৪-০-৩৯-৩, ইকবাল ৪-০-৩৯-২, নূর ৪-০-২৯-০
ফলাফলঃ করাচি কিংস ১৪ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ দানিশ আজিজ (করাচি কিংস)।