

দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং বিতর্ক নিয়মিত ব্যাপার। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও (ডিপিএল) বেশ কয়েকবারই প্রশ্ন উঠে আম্পায়ারিং নিয়ে। যার চূড়ান্ত রূপও বলা যায় সাকিব আল হাসানের স্টাম্পে লাথি দেওয়া কান্ড। এরপর অবশ্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছি বিসিবি সভাপতি, যদিও তদন্তের ভিত্তিতে তার সাফ কথা আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ নেই কোনো ক্লাবের। তবে আম্পায়ারিং ইস্যু আবারও সামনে আসলো লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জের এক চিঠিতে।
রাউন্ড রবিন পর্বের ১১ ম্যাচে মাত্র ৭ পয়েন্ট নিয়ে ক্লাবটিকে খেলতে হচ্ছে রেলিগেশন পর্ব। যেখানে তাদের সঙ্গী ওল্ড ডিওএইচএস ও পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। রেলিগেশন পর্বে শীর্ষে থাকা দল প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকলেও বাকি দুই দল অবনমন হয়ে পরের মৌসুমে খলবে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট।
ফলে রেলিগেশন পর্ব খেলতে যাওয়া বর্তমান রানার আপ লেজেন্ডস অব রূপ গঞ্জের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো। বিশেষ করে ২১ জুন ওল্ড ডিওএইচেসের সাথে ম্যাচটিকে তারা দেখছে মহা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে। যে কারণে ম্যাচের আম্পায়ার ও ভেন্যু ইস্যুতে তাদের রয়েছে নিজস্ব চাওয়া। রেলিগেশন পর্বের তিনটি ম্যাচই বিকেএসপিতে মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও, ২১ তারিখের ম্যাচটি মিরপুরে চায় লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। সাথে আইসিসি প্যানেলের আম্পায়ার দ্বারা তৃতীয় আম্পায়ারের রিভিউও দাবি ক্লাবটির।
ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রো পলিসকে (সিসিডিএম) ইতোমধ্যে দিয়েছে চিঠি। সিসিডিএম বলছে ভালো মানের আম্পায়ার দেওয়ার ব্যাপারে তাদের নেই কোন আপত্তি। রুপগঞ্জের চিঠি পাওয়ার আগেই তারা সিদ্ধান্ত নেয় টুর্নামেন্টের সেরা আম্পায়ারদেরই নিয়োগ দেওয়া হবে ম্যাচটিতে। তবে টানা খেলা ও বৃষ্টি বাধার কারণে মিরপুরে ম্যাচটি আয়োজনের সম্ভাবনা কমই দেখছে সিসিডিএম সদস্য সচীব আলি হোসেন। তার মতে ভালো আম্পায়ার দিলে বিকেএসপিতেও খেলতে আপত্তি নেই রুপগঞ্জের।
‘ক্রিকেট৯৭’ কে আলি হোসেন বলেন, ‘তারা ভালো মানের আম্পায়ার চেয়েছে এটা তারা পাবে নিশ্চিত। এমনকি তারা চিঠি দেওয়ার আগেও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেরা আম্পায়ারদেরই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দিব। ইতোমধ্যে তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে, আমরা আম্পায়ারের বিষয়টা আশ্বস্ত করেছি। তারাও বলছে আম্পায়ারের দিকটা ঠিক থাকলে বিকেএসপিতে খেলতেও তাদের আপত্তি নাই।’
‘তবে মাঠের ব্যাপারটা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা। কারণ মিরপুরে যেভাবে বৃষ্টি বাঁধা, আজকের খেলাই অনিশ্চিত। এরপর খেলা হলেও টানা খেলা থাকবে, ফলে মাঝের বিরতিতে উইকেট প্রস্তুত করার ব্যাপার থাকে।’
‘সবমিলিয়ে এটা কঠিন, তবুও আমরা আলাপ আলোচনা করছি। দেখা যাক এখনোতো সময় বাকি আছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমেও আশ্বস্ত করতে চাই যে সেরা মানের আম্পায়ারই থাকবে। তবে মাঠের ব্যাপারটা তো কঠিন, আবারও বলছি এটা আমরা এখনই কোনো কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা। আনুষ্ঠানিকভাবেও তাদের জানাবো বিষয়টি।’
তবে ভালো মানের আম্পায়ার থাকলে মিরপুরের পরিবর্তে বিকেএসপিতে খেলতে আপত্তি আছে কিনা রুপগঞ্জের এমন প্রশ্নে সোজা কোনো উত্তর দেননি ক্লাবটির কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম টিটু।
‘ক্রিকেট৯৭’ কে তিনি বলেন, ‘আমরাতো আমাদের চাওয়ার কথা জানিয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের (সিসিডিএম) কাছ থেকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে পারিনি। তারা ভালো মানের আম্পায়ার নিশ্চিত করলে আমরা বিকেএসপিতে খেলবো কিনা এমন সিদ্ধান্তও আমাদের পক্ষ থেকে এখনো নেওয়া হয়নি। আমাদের মালিকপক্ষ কি চায় শেষ পর্যন্ত সেটা দেখা যাক। এরপরই আসলে বলা সম্ভব।’