

আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ মানেই উত্তেজনা, সেটা লম্বা সময় ধরে মাঠের ক্রিকেটে দেখা যায়না। তবে এবার সাকিব আল হাসান মোহামেডানে নাম লেখানোয় সে উত্তেজনা বাড়বে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল ভক্ত সমর্থকদের। লিগের দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে শুক্রবার সেই উত্তাপ ছড়িয়েছে বেশ ভালোভাবেই। আর সেটা সাকিব নিজেই ছড়ালেন।
মেজাজ হারিয়ে পরপর দুইবার আম্পায়ারের উপর ঝাড়লেন রাগ। প্রথম দফায় স্টাম্পে লাথি মারলেও পরের বার রাগে উপড়ে ফেলেন তিন স্টাম্পই। বিবাদে ঝড়িয়েছেন প্রতিপক্ষ কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথেও।
মোহামেডানের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিপাকেই পড়ে আবাহনী। শুভাগত হোমের স্পিন ঘূর্ণিতে ৯ রানেই ৩ উইকেট হারায়। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত উদ্ধার করার চেষ্টা করছিলেন আবাহনীকে।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সাকিব বল হাতে নিয়েই ফেরাতে পারতেন মুশফিককে। তার করা প্রথম পাঁচ বলে ১ চার ১ ছক্কা হাঁকান মুশফিক। শেষ বলে অনেকটা সোজা বল মিস করে মুশফিক, এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ারা ইমরান পারভেজ। এমন সিদ্ধান্তে খুশি হতে না পেরে সাকিব রাগ ঝেড়েছেন স্টাম্পে লাথি মেরে। আম্পায়ারের সাথে বেশ কিছুক্ষণ বাগ বিতন্ডা হয় মোহামেডান অধিনায়কের।
দ্বিতীয় দফায় নিয়ন্ত্রন অতিরিক্ত মাত্রায় হারান ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ করার ঘোষণা আসলে। ৫.৫ ওভারে আবাহনীর স্কোরবোর্ডে তখন ৩ উইকেটে ৩১ রান। আর খেলা না হলেও ম্যাচ মোহামেডানেরই জেতার কথা। কারণ বৃষ্টি আইনে ৫ ওভারে আবাহনীকে তুলতে হত ৪৭ রান।
কিন্তু খেলা বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তে সাকিবের দ্বিতীয় দফায় মেজাজ হারিয়ে স্টাম্প তুলে ফেলাটা বিস্ময় ঠেকেছে সবার কাছে। তার আগে আবাহনীর দর্শকদের হৈ হুল্লোড়ের জবাবে সাকিবের অঙ্গভঙ্গিতে ছিল নেতিবাচকতা।
খেলা বন্ধ হওয়ার পর আবাহনীর ড্রেসিং রুমে আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথেও বাগ বিতন্ডায় জড়াতে দেখা যায় সাকিবকে। সাকিবের এমন কান্ডে আবাহনী ড্রেসিং রুমেও ছড়িয়ে পড়ে উত্তাপ, যা ডাগ আউটে দৃশ্যমান হয়। দুজনকেই শান্ত করার চেষ্টা করেন দুই দলের ক্রিকেটাররা।