

জিমি অ্যান্ডারসনের রেকর্ডময় টেস্টের প্রথম দিনে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ওপেনার ররি বার্নস এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ড্যান লরেন্সের অর্ধশতরান করলেও সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫৮ রান করতে ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছে ইংলিশরা।
বার্মিংহাম টেস্টের মধ্য দিয়ে অ্যালিস্টার কুকের ১৬১ টেস্টের রেকর্ড ছাড়িয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক টেস্ট খেলার মালিক এখন অ্যান্ডারসনের (১৬২) হাতে। এছাড়া তার উইকেট সংখ্যা এখন ৬১৬। আর মাত্র ৪ উইকেট পেলে ভারতের কিংবদন্তি লেগস্পিনার অনিল কুম্বলেকে (৬১৯) ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।
আগের ম্যাচে অভিষিক্ত ওলি রবিনসন নিষিদ্ধ হওয়ায় দলে সুযোগ পান ওলি স্টোন। অন্যদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালকে কেন্দ্র করে ইনজুরির ঝুঁকি এড়াতে ব্ল্যাকক্যাপসদের শিবিরে আসে বড়সড় পরিবর্তন। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনসহ ৬ জন খেলোয়াড় বিশ্রামে যান। অধিনায়কত্ব বর্তায় টম লাথামের কাঁধে।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা ইংলিশদের শুরুটা ভালোই ছিল। ররি বার্নস ও ডম সিবলি দেখেশুনে ব্যাট করছিলেন। ৬৭ রানে কোন উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চে যায় তারা।
তবে লাঞ্চ থেকে ফিরে আসার প্রথম ওভারে সিবলিকে (৩৫) হারায় ইংল্যান্ড। ৭২ রানে ১ম উইকেট হারানোর পর ৮৫ রানে যেতে জ্যাক ক্রলি (০) ও অধিনায়ক জো রুটও (৪) বিদায় নেন।
ওলি পোপের সাথে ৩৮ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বার্নস, এ ম্যাচে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। পোপ ১৯ রান করে উইকেট নেন।
শতকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বার্নস, তবে ৮১ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর জেমস ব্রেসিও কোন না রান করে বিদায় নেন। অভিষেকের ২ টেস্টেই শুন্য রানে আউট হয়েছেন ব্রেসি।
তবে লরেন্সের হাফ সেঞ্চুরির কল্যাণে আড়াইশোর কোটা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে ইংল্যান্ড। লরেন্স ৬৭ এবং মার্ক উড ১৬ রান নিয়ে ২য় দিনে ব্যাট হাতে নামবেন।
ব্ল্যাকক্যাপসদের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট, এজাজ প্যাটেল এবং ম্যাট হেনরি ২টি করে উইকেট নেন। বাকি উইকেটটি যায় নেইল ওয়াগনারের দখলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম দিন শেষে):
ইংল্যান্ডঃ ২৫৮/৭ (৯০), বার্নস ৮১, সিবলি ৩৫, ক্রলি ০, রুট ৪, পোপ ১৯, লরেন্স ৬৭*, ব্রেসি ০, স্টোন ২০, উড ১৬*; বোল্ট ২৩-৪-৬০-২, হেনরি ২২-৫-৬৬-২, ওয়াগনার ২০-৬-৬২-১, মিচেল ১১-২-২৩-০, প্যাটেল ১৪-৪-৩৪-২।