
বৃহস্পতিবার বার্মিংহামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২য় টেস্টে মাঠে নামলে এক অনন্য মাইলফলকের নজির গড়বেন ইংল্যান্ডের পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের ১৬২ টেস্ট রেকর্ড অতিক্রম করে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলা ক্রিকেটার হবেন তিনি।
‘১৫ বছর ধরে দারুণ যাচ্ছে। আমি জানি কুক (অ্যালিস্টার কুক) ক্রিকেটটা অসাধারণ খেলেছে। ওর রেকর্ডে দাঁড়িয়ে আমি নিজেও ভীষণ গর্বিত অনুভব করছি,’ বলেন জিমি অ্যান্ডারসন।
১৮ বছর আগে ২০০৩ সালে লর্ডসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় অ্যান্ডারসনের। তবে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ার ভীষণ উদ্বেগে ছিলেন তিনি।
‘ভেবেছিলাম আমি যথেষ্ট যোগ্য না। কাউন্টি ক্রিকেটটাও দীর্ঘ পদক্ষেপ মনে হচ্ছিল। মনে আছে নাসের (নাসের হুসাইন) আমার জন্য ফাইন লেগে ফিল্ডার রাখেনি এবং অনেক রান দিয়েছিলাম। প্রথম বলই ছিল নো বল। একইসাথে আমি অনেক নার্ভাস ছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম আমাকে হয়তো এখান থেকে সরে যেতে হবে।’
বর্তমানে টেস্টে ৬১৬ উইকেটের মালিক অ্যান্ডারসন। পেসারদের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট তার দখলে। এছাড়া সর্বকালের সেরা বোলারদের তালিকায় ৪র্থ অবস্থানে আছেন তিনি। তার সামনে রয়েছেন মুত্তিয়াহ মুরালিধরন (৮০০), শেন ওয়ার্ন (৭০৮) এবং অনিল কুম্বলে (৬১৯)। ৩৮ বছর বয়সী এ পেসার জানান শীর্ষস্থানীয় দলগুলোর বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করতে তার কয়েক বছর সময় লেগেছে। এরপর নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে মানিয়ে নিয়েছেন।
‘বিশ্বের ভালো দলগুলোর বিপক্ষে পারফরম্যান্স করতে আমার কয়েক বছর সময় লেগেছে। জিম্বাবুয়েকে অসম্মান করছি না, তবে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মত দলগুলোর কথা তুলে ধরছি। যখন আপনি বড় দলের বিপক্ষে পারফর্ম করতে পারবেন, তখন আপনার আসলেই মনে হবে আপনি পারফর্ম করতে জানেন। তাই, এটা করতেও কয়েক বছর চলে যায়। আমিও যে পারফর্ম করতে পারি, তা বিশ্বে কয়েকটি ট্যুরের মধ্য দিয়ে উপলব্ধি হয়েছে।’
‘ক্যারিয়ারের ছোট ছোট বাঁধাগুলো অতিক্রম করে এ পর্যায়ে আসতে পেরে আমি গর্বিত অনুভব করি। এ বাঁধাগুলোই আমাকে আরও বেশি শক্তিশালী করেছে। মানসিক চাপগুলো থেকে নতুনভাবে শুরু করেছিলাম। বোলিং অ্যাকশন আগে যেমনটা ছিল, সেখান থেকে অনেক পরিবর্তন করেছি। তবে খেলায় যে চাপগুলো অনুভূত হয়, তা ঈশ্বর প্রদত্ত বলেই মনে হয়।’
‘তবে পুরনো অ্যাকশনে ফিরতে পেরে বেশ স্বস্তিতে আছি এবং ধারাবাহিকতা ধরে রাখছি। এটা আমাকে সাহায্য করেছে এবং নিজের প্রতি গর্ব অনুভব করি যে আমি আগের থেকে আরও বেশি শক্তিশালী।’