

২০২২ সালের আইপিএলে আরও দুইটি দল বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এমনটি হলে ১০ দলের আইপিএলে একাদশে পাঁচ বিদেশি খেলানোর পক্ষে ভারতীয় সাবেক ব্যাটসম্যান ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার।
আইপিএলের বর্তমান নিয়মানুসারে সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি খেলোয়াড় একাদশে রাখা যায়। তবে ৮ দলের পরিবর্তে ফ্র্যাঞ্চাইজির সংখ্যা ১০ হচ্ছে বলে একাদশে বিদেশি খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে মত মাঞ্জরেকারের।
বর্তমানে ৮ দলে ৭ জন করে স্থানীয় খেলোয়াড় খেলায় সর্বোচ্চ ৫৬ জন ক্রিকেটার সুযোগ পাচ্ছে। ১০ দলের আইপিএলে ৬ জন করে স্থানীয় ক্রিকেটার খেলালেও সংখ্যাটা ৬০। যা বর্তমানের চেয়ে বেশি, ফলে একজন করে বিদেশি খেলোয়াড় খেলানো হলেও প্রভাব পড়বেনা মনে করেন ৫৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেট বিশ্লেষক।
ভারতের হয়ে ৩৭ টেস্ট ও ৭৪ ওয়ানডে খেলা মাঞ্জরেকার বলেন, ‘যদি আইপিএল ১০ দলের হয় তবে আপনি যেকোনো দলে পাঁচ জন করে বিদেশি খেলাতে পারেন। এরপরেও একাদশে ৬০ জন ভারতীয় খেলোয়াড় থাকবে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়।’
তার মতে একাদশে বিদেশি খেলোয়াড়দের আধিক্যতা ভারতীয় প্রতিভাদের এই মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টে বিকশিত হওয়ার সুযোগ নষ্ট করবেনা।
তিনি বলেন, ‘যখন আইপিএল, টি-টোয়েন্টি কিংবা ৫০ ওয়ারের ক্রিকেট ছিলনা, ৭০ ও ৮০ এর দশকে মাত্র ১৩-১৪ জন খেলোয়াড় সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে পারতো। আর এভাবেই আপনি ভারতীয় ক্রিকেটারদের খেলতে দেখছেন।’
ভারতীয় এই ধারাভাষ্যকার মনে করেন ইতোমধ্যে ভারতের পাইপলাইনে বেশকিছু প্রতিভা রয়েছে। বরং নিয়মের কারণে অনেক বিদেশি তারকা ক্রিকেটারকে একাদশের বাইরে থাকতে হয়েছে।
মাঞ্জরেকার যোগ করেন, ‘আপনার কাছে ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রতিভা রয়েছে আর এটা লজ্জার ব্যাপার যে বিদেশি অনেক ভালো মানের ক্রিকেটার একাদশের বাইরে থাকতে হচ্ছে। কারণ একাদশে চারজনের বেশি খেলানো সম্ভব না। সুতরাং আমরা যদি ৫ জন বিদেশিও খেলাই তাহলেও প্রচুর ভারতীয় ক্রিকেটার সুযোগ পাচ্ছে।’