
আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত ‘ক্রিকেট ম্যাচ ফিক্সার’ ডকুমেন্টারিতে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনা ম্যাচগুলোতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পায়নি। তিন বছর তদন্ত শেষে আইসিসি বলছে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ কেবলই অনুমান নির্ভর।
আল জাজিরার ঐ ডকুমেন্ট অনুসারে ২০১৬ সালের চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ড-ভারত ও ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া-ভারত রাঁচি টেস্টের কিছু নির্দিষ্ট অংশে ফিক্সিং হয়। ২০১৮ সালের ২৭ মে ডকুমেন্টারিটি প্রকাশিত হওয়ার পর আইসিসি চারজন স্বাধীন তদন্তকারী দ্বারা অভিযোগের তদন্তের কাজ শুরু করে।
আল জাজিরার ডকুমেন্টারিতে একজন কথিত বুকি অনিল মুন্নাওয়ারকে ভিরাট কোহলির ভারতীয় দলের টেস্ট দুইটি নিয়ে অভিযোগ আনতে দেখা যায়। তিন বছর পর আজ (সোমবার ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে আইসিসি জানায়, ‘প্রোগ্রামটিতে দুইটি অভিযগ আনা হয়ঃ ২০১৬ সালে চেন্নাইয়ে ভারত-ইংল্যান্ড ও ২০১৭ সালে রাঁচিতে অনুষ্ঠিত ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট। এই ডকুমেন্টারিতে সন্দেহের তীর ছোঁড়া কয়েকটি জায়গা অস্বাভাবিক ছিল কিনা তা যাচাইয়ে আইসিসি চারজন স্বতন্ত্র বাজি ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।’
‘তারা চারজনই তদন্ত শেষে উপসংহার টেনেছে এই বলে যে ফিক্সিংয়ের সন্দেহ প্রকাশ করা জায়গাগুলো কেবল অনুমান নির্ভর এবং সেসবকে কোনভাবে ফিক্সিং বলে বর্ণনা করারও অবকাশ নেই।’
তদন্ত সম্পন্ন করা চারজনের কারও নামই প্রকাশ করেনি আইসিসি। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে তাদের মধ্যে ছিল পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার হাসান রাজা, শ্রীলঙ্কার থারাঙ্গা ইন্দিকা ও থারিন্দু মেন্ডিস। অল্প সময়ের জন্য তাদের সাথে যোগ দেন মুম্বাইয়ের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার রবিন মরিস, তবে তিনি পুরো তদন্তে সক্রিয় ছিলেন না।