

সতীর্থ মোহাম্মদ আসিফকে পি-টি-য়ে ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে পাকিস্তানের বিমানে চড়তে হয় শোয়েব আখতারকে। দুজনের ঐ কে-লে-ঙ্কা-রি-তে জড়িয়ে ছিল শহীদ আফ্রিদির নামও। নিজের আত্মজীবনীতে শোয়েব লিখেছেন আফ্রিদির বা-ড়া-বা-ড়ি-র কারণেই সেদিনের ঘটনা বাজে দিকে মোড় নেয়। এবার আফ্রিদি জানালেন ঐ ঘটনায় তার সরাসরি কোন হাত ছিল না।
সম্প্রতি পাকিস্তানি একটি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৪১ বছর বয়সী শহীদ আফ্রিদি দিলেন ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা। তার মতে মজা করতে করতেই অমন নেতিবাচক ঘটনার শুরু। আসিফ ও আফ্রিদির করা মজা ঠিকঠাক নিতে পারেনি শোয়েব আখতার।
আফ্রিদি বলেন, ‘দলের মধ্যে এসব ঘটে, আপনি যখন পরিবারের চেয়ে সতীর্থদের সাথেই বেশি সময় কাটাচ্ছেন। এখানে কেউ জোকস নিতে পারে কেউ পারেনা। এই ঘটনায় আমার কোনো হাত নেই। শোয়েবকে রাগান্বিত হতে দেখে আমি কেবল পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়েছিলাম।’
‘আসিফ ও আমি একটা কৌতুক নিয়ে মজা করছিলাম যা শোয়েবকে রাগিয়ে দেয় আর পুরো ঘটনা ঘটে। তবে শোয়েবের মন অনেক সুন্দর, তার বাহ্যিক সকল আ-গ্রা-স-ন দেখানো সত্ত্বেও। একজন পেসারের জন্য এটা সহজাত ব্যাপার।’
এদিকে নিজের আত্মজীবনীতে শোয়েব আখতার লিখেছিলেন, ‘আফ্রিদি পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছিল এবং দুজনকেই ব্যাট দিয়ে মা-র-তে যাই। আফ্রিদি মাথা নিচু করে ফেলে কিন্তু আসিফ সেটা পারেনি, তার উরুতে ব্যাটের আঘাত লাগে এবং সে পড়ে যায়। আমি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলাম। আমি এর আগে এমন ব্যবহার কখনোই করিনি বিশেষ করে ড্রেসিং রুমে।’