

২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট অভিষেক হয় মেহেদী হাসান মিরাজের। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ৪ ইনিংস মিলে ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন মিরাজ। দেশের মাটিতে এই সাফল্যের ধারা পরবর্তীতেও বজায় রেখেছেন মিরাজ, তবে দেশের বাইরে গেলেই সাদা পোশাকে মিরাজের অফ স্পিনকে নিষ্প্রাণ মনে হয়।
দেশ ও দেশের বাইরে মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিং পারফরম্যান্স আলোচনা করলেই তা স্পষ্ট হবে। দেশের মাটিতে ১৩ টেস্টের ২৪ ইনিংসে বল করা মিরাজের উইকেট ৭১ টি, গড় ২২.০৯।
আর দেশের বাইরে সমানসংখ্যক ম্যাচের ২০ ইনিংসে বল করে মিরাজের উইকেট মাত্র ৩৩, গড়টা ৬১.১৫!
মিরাজ জানেন দেশের বাইরে তার পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়। এটা মেনে নিয়ে মিরাজ দিয়েছেন ব্যাখ্যা।
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে মিরাজ বলেন, ‘এটা সত্য যে আমাকে দেশের বাইরে ভালো করতে হবে। ঘরের মাঠে স্পিনাররা শুরু থেকেই উইকেট থেকে সহায়তা পায়। কিন্তু দেশের বাইরে সেটা আমরা পেয়ে থাকি ৩য় দিন থেকে। আমি মনে করি প্রথম দুই দিন আমার জন্য খুব গুরুত্বপুর্ণ। আমি অনুভব করি রান আটকে রাখা আমার দলকে খুব সাহায্য করে, আমি উইকেট না পেলেও এটা টেস্ট ক্রিকেটে খুবই গুরুত্বপুর্ণ।’
‘আমরা সাধারণত দেশের বাইরের উইকেটে রান আটকে রাখার জন্য বল করি। কারণ আমরা যখন উইকেট নেওয়ার জন্য বল করি তখন অনেক রান দিয়ে ফেলি। এবং যখন বেশি রান দিয়ে ফেলি তখন তা আমাদের ওপর চাপের কারণ হয়’, মিরাজ যোগ করেন।
মিরাজের মতে টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ তৈরি করার বিকল্প নেই। যত বেশি সুযোগ তৈরি করা যাবে তত বেশি উইকেট পাবার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
মিরাজ বলেন, ‘আপনি কখনোই টেস্ট ক্রিকেটে জোর করে উইকেট নিতে পারবেন না। আপনাকে উইকেট পেতে সবসময় সুযোগ তৈরি করতে হবে, সেটা ভালো স্পিনিং উইকেটেও। এমন না যে ১০ টা সুযোগ তৈরি করে আপনি ১০ উইকেট নিতে পারবেন, দশটি সুযোগে আপনি দুইটির মত উইকেট পেতে পারেন। আপনাকে বেশি সংখ্যক সুযোগ তৈরি করতে হবে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার জন্য।’
‘এটাই আমি চেষ্টা করি। আমি রান আটকে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করি। যাতে করে যদি আমি কোন ইনিংসে ২০ থেকে ৩০ ওভার বল করি তাতে যেনো ২০ টার মত সুযোগ তৈরি করতে পারি। তবে এটা আমাকে ২০ উইকেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেয় না। যদি ভাগ্য আমার পক্ষে থাকে তাহলে আমি সেসব সুযোগ থেকে গোটাকয়েক উইকেট পেতে পারি।’