

কেপটাউন টেস্টের বল টেম্পারিং ইস্যুতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করলেন সাজা পাওয়া অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ক্যামেরুন ব্যানক্রফট। সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আভাস দিয়েছেন বল টেম্পারিংয়ের বিষয় সম্পর্কে অবগত ছিল দলের বোলাররাও।
২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের বল টেম্পারিং কান্ড ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম বাজে কেলেঙ্কারি। যে অপরাধে জড়িয়ে সাজা পেতে হয়েছে তখনকার অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, ডেডিভ ওয়ার্নার ও ক্যামেরুন ব্যানক্রফটকে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তিনজনকেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করে। তারা হয়তো ভেবেছিল গল্পের শেষ এখানেই। তবে নানা মহলেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল এই অপরাধের সাথে জড়িয়ে থাকতে পারে দলের আরও কিছু ক্রিকেটারের নাম। তবে যথাযথ প্রমাণের অভাবে এতদিনে সেটি আড়ালেই পড়তে বসেছে।
কিন্তু দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্যামেরুন ব্যানক্রফট সামনে আনলেন নতুন গল্প। বোলাররা অবগত ছিলেন কিনা এমন প্রশ্নে তার দেয়া উত্তরেই মিলেছে বোলারদের জড়ানোর ব্যাপারটি।
২৮ বছর বয়সী ব্যানক্রফট বলেন, ‘দেখুন আমি যা করতে চেয়েছিলাম তা হল আমার কাজের জন্য দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতা। হ্যাঁ অবশ্যই আমি যা করেছি তা বোলারদের সুবিধা দিয়েছে এবং এ বিষয়ে তারা সচেতন ছিল। সম্ভবত স্ব-ব্যাখ্যামূলক…আমি নিজে যদি আরেকটি সচেতন হতাম হয়তো আরও ভালো কোনো সিদ্ধান্ত নিতাম।’
বোলারদের জড়ানো প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, দেখুন, আমি মনে করি হ্যাঁ (তারা জানতো) আমি মনে করি এটা সম্ভবত স্ব-ব্যাখ্যামূলক।’
ঐ ম্যাচের অস্ট্রেলিয়া একাদশে ছিল চার বোলার। তারা হলেন মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়ন।
তবে ২০১৮ সালে ফক্স স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বল টেম্পারিং বিষয়ে জানতেন না বলে সাফ জানিয়েছিলেন জশ হ্যাজেলউড।
তিনি বলেছিলেন, ‘না, না (আমরা জানতাম না)। স্পষ্টতই আমাদের দলে বল দেখাশোনার জন লোক আছে। সাধারণত ব্যাটসম্যানরা এই কাজ করে, তারা বৃত্তের ভেতরে এবং বোলারদের আশেপাশেই থাকে, ফাইন লেগ, ডিপ স্কয়ার লেগে। প্রতি বলের পরই তারা বলের দিকে নজর দেয়। যত দ্রুত এটা সুইং করা কমিয়ে তখনই রিভার্স সুইং করতে শুরু করে। আমরা বোলিং প্রান্ত থেকে দৌড় দেয়ার এক সেকেন্ড আগে বল হাতে পাই। সুতরাং আমাদের তাৎক্ষনিক দৃষ্টিতে বলের বিবর্ণ অংশকে খুঁজে বের করতে হয়।’