

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচেও ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ দিনে এসে আনুষ্ঠানিকতা সারতে লেগেছে মাত্র ৫ ওভার। শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে আউট হয়েছেন লুক জঙ্গে।
লুক জঙ্গেকে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ৫ম উইকেটের দেখা পান শাহীন শাহ। প্রথম ইনিংসে হাসান আলি ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন, গতকালই ৫ উইকেট পেয়ে গিয়েছিলেন স্পিনার নওমান আলি। এই দিয়ে প্রথমবারের মত এক টেস্টে ৩ পাকিস্তানি বোলার ৫ উইকেট পেলেন। সবমিলে যেটি মাত্র ৬ষ্ঠ নজির।
বোলাররা জ্বলে উঠলেও জয়ের মূল ভিত্তি অবশ্য গড়ে দিয়েছিলেন ওপেনার আবিদ আলি। ক্যারিয়ারের ১ম ডাবল সেঞ্চুরি করে দলকে পাহাড়সম রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে সাহায্য করেছিলেন। ১২৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আজহার আলি, ৯৭ রান এসেছিল নওমান আলির ব্যাট থেকে। ৮ উইকেটে ৫১০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান।
জবাব দিতে নেমে ১ম ইনিংসে ১৩২ এই গুটিয়ে যাইয় জিম্বাবুয়ে। হাসান আলি ২৭ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে রেজিস চাকাবভার ব্যাট থেকে।
ফলো অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে চাকাবভা করেন ৮০ রান, জিম্বাবুয়েও পার করে ২০০ রানের গন্ডি। তবে তা যথেষ্ট হয়নি ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে। ২৩১ রানে জিম্বাবুয়ে অলআউট হলে ইনিংস ও ১৪৭ রানে হারে জিম্বাবুয়ে।
অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরির কারণে ম্যাচসেরা হন আবিদ আলি। সিরিজে ৪ ইনিংসে ১৪ উইকেট নেওয়া হাসান আলি হন সিরিজসেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পাকিস্তান ১ম ইনিংসে ৫১০/৮ (১৪৭.১ ওভারে ইনিংস ঘোষণা), ইমরান ২, আবিদ ২১৫*, আজহার ১২৬, বাবর ২, ফাওয়াদ ৫, সাজিদ ২০, রিজওয়ান ২১, হাসান ০, নওমান ৯৭; মুজারাবানি ২৯-৬-৮২-৩, এনগারাভা ২৪-৫-৫৮-১, জঙ্গে ১৭-১-৬৮-১, টিরিপানো ২২-৫-৮৩-১, চিসোরো ৪০.১-৭-১৩১-২
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংসে ১৩২/১০ (৬০.৪), কাসুজা ৪, মুসাকান্দা ০, চাকাবভা ৩৩, টেইলর ৯, শুম্বা ২, চিসোরো ১, জঙ্গে ১৯, টিরিপানো ২৩, কায়া ১১, এনগারাভা ১৫*, মুজারাবানি ৭; শাহীন শাহ ১৪-৪-৩৪-১, তাবিশ ১৫-৮-২২-১, হাসান ১৩-৪-২৭-৫, সাজিদ ১২.৪-৬-৩৯-২
ফলো অনে পড়ে জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংসে ২৩১/১০ (৬৮ ওভারে), কাসুজা ২২, মুসাকান্দা ৮, চাকাবভা ৮০, টেইলর ৪৯, শুম্বা ১৬, জঙ্গে ৩৭, টিরিপানো ০, কায়া ০, চিসোরো ৮, এনগারাভা ০, মুজারাবানি ৪*; শাহীন শাহ ২০-৫-৫২-৫, নওমান ২১-৩-৮৬-৫
ফলাফলঃ পাকিস্তান ইনিংস ও ১৪৭ রানে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ আবিদ আলি (পাকিস্তান)
সিরিজসেরাঃ হাসান আলি (পাকিস্তান)।