

ভারতের করোনা পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপের পথে। করোনার কারণেই মাঝপথে বাতিল হয়েছে আইপিএলের এবারের আসর। তবে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এই বছরেই সেরে ফেলতে চায়। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ফ্র্যাঞ্চাইজি, ব্রডকাস্টার ও অন্যান্য স্টকহোল্ডাররা এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে।
তবে ঠিক কবে ও কোথায় তা আয়োজন করা হবে তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আয়োজকের তালিকায় ভারতের নাম যে থাকছে না তা একরকম নিশ্চিত।
ভারতের করোনা পরিস্থিতিতে অনেক বিদেশি ক্রিকেটার ভারত ছেড়েছেন, আবার ভারতে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজন করা হলে তাদের আবার ফেরার সম্ভাবনা শুন্যের কোঠায়। বিদেশি ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতে অনেকটাই রঙ হারাবে আইপিএল।
ভারতীয় গণমাধ্যম ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এর উর্ধ্বতন কর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে আইপিএল এর বাকি অংশ ভারতের বাইরেই হবে। সেক্ষেত্রে একাধিক বিকল্প তাদের সামনে।
১. গেলবারের আইপিএলের পুরোটাই অনুষ্ঠিত হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এবারের আসরের বাকি অংশ আরব আমিরাতে সরে যাবার সম্ভাবনাই বেশি। যেখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের কথাও ভাবছে এবারের আয়োজক ভারত। সেক্ষেত্রে ভারতের ইংল্যান্ড সফর শেষ হবার পর ২২ অক্টোবর বিশ্বকাপ শুরুর আগে শেষ করা হবে আইপিএলের বাকি অংশ।
যদিও সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনেক গরম থাকে বলে সেটা ভাবনা বাড়াচ্ছে আয়োজকদের।
২. আরো এক বিকল্প আইপিএল যুক্তরাজ্যে আয়োজন করা। সেক্ষেত্রেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের শুরুর উইন্ডো কাজে লাগাবে বিসিসিআই। আগামী মাসে ভারত ইংল্যান্ডে যাবে বলে এই বিকল্প বাস্তব রূপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ।
৩. সর্বশেষ বিকল্পটা একটু জটিল। যদি বিসিসিআই সিদ্ধান্ত নেয় এবং অস্ট্রেলিয়া সরকার এখন থেকে ৪ মাস পর নিজ দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় তাহলে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরে যাবে অস্ট্রেলিয়ায়।
সেক্ষেত্রে ভারত বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ২০২২ সালে, যেটা অস্ট্রেলিয়াতে হবার কথা।