

বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিউ নরমাল- দলের বিদেশ সফরে দলের সঙ্গে কোন বিসিবি পরিচালক যাচ্ছেন টিম লিডার হিসাবে। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে সেই ভূমিকায় টাইগারদের সফরসঙ্গী হয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। কোচ ও খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দেখা সুজন বলছেন দলের ব্যর্থতার দায়ে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে বলির পাঁঠা বানানো সমীচীন হবে না।
করোনা পরিস্থিতির পরে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ হতশ্রী। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবার পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোয়ানো। মুমিনুল হকের দল সাফল্যের মুখই দেখছ না।
দলের এমন ভরাডুবির সময় প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আছেন স্ক্যানারে। তার উপস্থিতি দলে মূল্য বাড়াচ্ছে কিনা তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। আর ডোমিঙ্গোর ভাগ্যে কি আছে তা অনেকটা নির্ভর করছে খালেদ মাহমুদ সুজনের দেওয়া রিপোর্টের ওপর।
সুজন অবশ্য ডোমিঙ্গোকে বলির পাঁঠা বানানোর পক্ষে না। জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে তিনি বলেন, ‘আমাদের রাসেলকে বলির পাঁঠা বানানো উচিত নয়।’
তিনি যোগ করেন, ‘কোন ভালো বা খারাপের জন্য আমাদের কোচকে পূর্নাঙ্গরূপে দায় দেওয়া উচিত না। সে বড় দলের কোচও ছিল। তার কাজে কোন ত্রুটি ছিল না, বরং সে দুর্ভাগা। এমনটা অনেক সময়েই হয়। কোন সিদ্ধান্তে আসার জন্য খুবই অল্প সময়। আমি কেবল তার সাথে একটা সিরিজ থেকেছি, আমি বলতে পারি সে চেষ্টা করছে।’
কাজে নয়, বরং কোচ ও ক্রিকেটারদের যোগাযোগে সমস্যা দেখছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে হবে এবং সবসময় বলে যেতে হবে কি করতে হবে। এটা ডোমিঙ্গোর বোঝা উচিত।’
সুজন যোগ করেন, ‘সে দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজ করছে না, বাংলাদেশে করছে। এদেশে কাজ ভিন্ন ভাবে হয়। খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে বারবার বলতে হয় তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে। অন্যান্য দেশে এমন হয় না, কারণ সেখানে খেলোয়াড়রা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। তাদেরকে বলে দিতে হয় না কি করতে হবে। আমি ডোমিঙ্গোকে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। সম্পর্ক তৈরি হতে সময় লাগে তবে আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে যা জানি তা তার কাছে ব্যাখ্যা করেছি।’
ডোমিঙ্গোকে বাদ দেবার গুঞ্জন ক্রিকেটপাড়ায় বেশ জোরেশোরে। তবে সেরকম সম্ভাবনা দেখছেন না সুজন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না ডোমিঙ্গোকে ছাঁটাই করার কোন আলোচনা হয়েছে।’