
সহকারী কোচ নিয়ে বিসিবির দু:শ্চিন্তা যেনো যাচ্ছেইনা। একের পর এক আসছে আর যাচ্ছে। গতবছর থেকেই মূলত সমস্যার শুরু। বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ ছিলেন শ্রীলংকান রুয়ান কালপেগে। হলি আর্টিজানে হা-ম-লার পরপরই নিরাপত্তা ইস্যুতে জোরদার বাড়ানোর দাবী ছিল এই লংকানের, সাথে বেতন ভাতা সহ আরও কিছু দাবি ছিল। কিন্তু বিসিবির দেওয়া সময়ের মধ্যে এসে কাজে যোগ না দেওয়ায় বরখাস্ত করা হয় এই লঙ্কানকে।
এরপর আবার একই পদে আসেন ৮১ টেষ্ট আর ৫৩ ওয়ানডে খেলা অভিজ্ঞ আরেক লঙ্কান ব্যাটসম্যান থিলান সামারাবীরা। দেড় মাসের চুক্তিতে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হলেও দীর্ঘদিনই তার কাছ থেকে সেবা নেওয়ার চিন্তা থেকেই বাড়ানো হয়েছিল তার মেয়াদ। গতবছর ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়েই ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে দ্বায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তার কাঁধে। অথচ সময় পুরোবার আগেই তাকে অপসারণ করতে হচ্ছে বিসিবিকে। আশানুরূপ ফল না পাওয়াই এর মূল কারন, সামারাবীরার মত অভিজ্ঞের কাছ থেকে আরও ভালো ফলই চেয়েছিল বিসিবি। যাদের নিয়ে তার কাজ, সেই ক্রিকেটাররাও তার ব্যাপারে ইতিবাচক কোন কিছু দেখাতে পারেনি।
তাই বাধ্য হয়েই নতুন সহকারীর আশ্রয় খুঁজতে হল বিসিবি কে, যদিও এরই মধ্যে প্রাথমিকভাবে একজনের নামও ভেবে রেখেছেন তারা। আর তিনি হচ্ছেন অষ্ট্রেলিয়ান মার্ক ও’নীল। কোনধরনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নাথাকলেও খেলেছেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট। নিউজিল্যান্ড ও ইংলিশ দল মিডেলসেক্সের কোচিং করিয়েছেন এই অষ্ট্রেলিয়ান।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান আকরাম খান সামাবীরার বিদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সামারাবীরাকে আমরা আর রাখছি না। আসলে সামারাবীরার কাজ নিয়ে নেগেটিভ ও পজিটিভ, দুই ধরনের মতই ছিল।’
তবে ও’নীলকেও খুব বেশীদিনের জন্যেই শুরুতে নিয়োগ দিচ্ছেনা বিসিবি। স্বল্প মেয়াদেই হতে পারে তার টাইগারদের দ্বায়িত্বনেওয়ার ভার, এমনটাই ইংগিত দিচ্ছেন বিসিবির বিশ্বস্ত সুত্র।