

অভিষেকেই বাজিমাত যাকে বলে সেটাই করলেন শ্রীলঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার প্রবীন জয়াবিক্রমা। তার রেকর্ড গড়া অভিষেকে পুড়ে ছারখার বাংলাদেশ, পাল্লেকেলে টেস্টে হেরেছে ২০৯ রানের ব্যবধানে। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টেই ১৭৮ রান খরচায় ১১ উইকেট জয়াবিক্রমার, রেকর্ড বইয়ের নানা জায়গায় লিখিয়ে নিলেন নিজের নাম। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে জানালেন নিজের কাজে শতভাগ সফল হওয়া জয়াবিক্রমাকে কিভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন।
জয়াবিক্রমার ১১ উইকেটের সাথে ম্যাচে আরেক লঙ্কান স্পিনার রমেশ মেন্ডিসের শিকার ৬ উইকেট। জয়াবিক্রমার অভিষেকের সাথে মেন্ডিস খেলেছেন কেবল নিজদের দ্বিতীয় টেস্ট। অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ দিয়ে বাংলাদেশকে কুপোকাত করে বেশ আনন্দিত লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নে। বিশেষ করে রেকর্ড বয় জয়াবিক্রমা আদায় করে নিয়েছেন বাড়তি প্রশংসা।
প্রথম ইনিংসেই অভিষেকে কোন লঙ্কান বোলারের সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েন (৩২-৭-৯২-৬)। দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার আরও ৫ উইকেট (৩২-১০-৮৬-৫)। ম্যাচে ১৭৮ রান খরচায় ১১ উইকেট নিয়ে একাই ধসিয়ে দিলেন বাংলাদেশকে।
View this post on Instagram
যা টেস্ট ইতিহাসে কোন বাঁহাতি স্পিনারের অভিষেকে সেরা বোলিং ফিগার। সবমিলিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রথম বোলার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার জয়াবিক্রমার। চামিন্দা ভাসের পর সবচেয়ে কম বয়সে টেস্টে ১০ উকেট পাওয়া লঙ্কান বোলারও এই বাঁহাতি স্পিনার।
এর আগে মাত্র ১০ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল ২২ বছর বয়সী জয়াবিক্রমার। অন্যদিকে আরেক স্পিনার রমেশ মেন্ডিসের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট অভিজ্ঞতা জয়াবিক্রমার চেয়ে বেশি হলেও টেস্ট খেলেছিলেন এর আগে মাত্র একটি।
সংবাদ সম্মেলনে দুজনকে নিয়ে অধিনায়ক করুনারত্নের মূল্যায়ন, ‘আমি সত্যি তাদের পারফরম্যান্সে খুশি। যখন আমাদের কোনো অভিজ্ঞ বোলার ছিলনা, তারা আসলো এবং অভিজ্ঞদের মতই পারফর্ম করলো। আর সেভাবেই পারফর্ম করলো তাদের যা করার উচিৎ ছিল।’
‘রমেশ লাইন লেংথে কিছুটা উন্নতি করতে পারে কিন্তু প্রভীন তার কাজ শতভাগ করেছে। সে এমনভাবে খেলেছে যে তার চাইতে ১০ টির বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা কেউ খেলছে। এটা আমাদের ভবিষ্যত টেস্ট ক্রিকেটের জন্য দারুণ এক নমুনা।’
কীভাবে তাদের অনুপ্রানীত করেছেন জানাতে গিয়ে লঙ্কান অধিনায়ক যোগ করেন, ‘সিনিয়ররা তাদের কেবল আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দিকে কিছু খেলোয়াড় উদ্বিগ্ন থাকে কারণ তারা অনেক কিছু চেষ্টা করে। তাদেরকে আমরা কেবল পরামর্শ দিয়েছি যেন নিয়মিত কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলছে সেভাবে খেলে, আর চাপটাও সেভাবেই সামলায়।’
‘প্রবীন দারুণভাবে চাপ কমিয়েছে এবং সত্যি অসাধারণ করেছে। রমেশের কিছু উন্নতির জায়গা আছে তবে তারও এটা দ্বিতীয় টেস্ট ছিল। আর যখন সে ১৫-২০ টেস্ট খেলে ফেলবে সেও সবকিছু ঠিকঠাক গুছিয়ে নেবে।’