

ফাওয়াদ আলমের শতরান ছাড়ানো অনবদ্য ইনিংসের পর হাসান আলির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং (ইনিংসে)। আর তাতেই হারারে টেস্ট মাত্র তিন দিনেই জিম্বাবুয়েকে হারাল সফরকারী পাকিস্তান। ইনিংস ও ১১৬ রানের বড় জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯ উইকেট (৪ ও ৫) শিকার করা পাক পেসার হাসান আলি পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে পাত্তাই পেল না স্বাগতিকরা। ব্যাটসম্যানদের পর বোলাদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে দাপুটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কে। জিম্বাবুয়েকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা।
পাকিস্তানের আগুনের বোলিংয়ের সামনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো চাপে পড়ে যায়। প্রথম দিনেই ১৭৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে তোলে ৪২৬। ফাওয়াদ আলম ১৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ২৫০ রানের লিড নেয় পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ১৩৪ রানে। কাসুজা ২৮, মুসাকান্দা ৪৩ ও ব্রেন্ডন টেইলর ২৯ রান করেন। রেজিস চাকাভা অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে। এছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ফলে মাত্র তিন দিনেই ইনিংস ও ১১৬ রানে ম্যাচ জিতে নিল পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাক পেসারদের তোপে তেমন কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। বল হাতে পেসার হাসান আলি ৩৬ রান খরচায় দখলে নেন ৫টি উইকেট। প্রথম ইনিংসেও হাসান আলি শিকার করেন ৪ উইকেট। এমন দুর্দান্ত বোলিং পারফর্ম্যান্সের সুবাদে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কারও জিতে নেন হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংসঃ ১৭৬/১০ (৫৯.১ ওভার) মাসভাউরে ১১, মুসাকান্দা ১৪, টেইলর ৫, শুম্বা ২৭, কাইয়া ৪৮, চাকাভা ১৯, টিরিপানো ২৮, চিসোরো ৯, মুজারাবানি ১৪; আফ্রিদি ১৫.১-৫-৪৩-৪, হাসান ১৫-২-৫৩-৪, নুমান ১১-১,-২৯-১
পাকিস্তান ১ম ইনিংসঃ ৪২৬/১০ (১৩৪ ওভার) বাট ৯১, আবিদ ৬০, আজহার ৩৬, বাবর ০, ফাওয়াদ ১৪০, রিজওয়ান ৪৫, ফাহিম ০, হাসান ৩০, আফ্রিদি ৪*; মুজারাবানি ৩১-৮-৭৩-৪, এনগারাভা ২৯-৪-১০৪-২, চিসোরো ৩৪-৭-৮৯-১, টিরিপানো ২৩-৬-৮৯-৩
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংসঃ ১৩৪/১০ (৪৬.২ ওভার) কাসুজা ২৮, মুসাকান্দা ৪৩, টেইলর ২৯, চাকাভা ১৪*; হাসান ১২.২-২-৩৬-৫, ফাহিম ১০-২-২২-১, নুমান ৯-১-২৭-২
ফলাফলঃ পাকিস্তান ইনিংস ও ১১৬ রানে জয়ী।
সিরিজঃ ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
ম্যাচ সেরাঃ হাসান আলি (পাকিস্তান)।