

চলমান পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দুইদিনেই চার ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডাররা। যার একটি মিস করেছেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই বাঁহাতি স্পিনার বলছেন ক্যাচ মিস খেলারই অংশ। যদিও স্বীকার করেছেন ক্যাচগুলো ঠিকঠাক ধরতে পারলে ভালো অবস্থানে থাকতো টাইগাররা।
পাল্লেকেলের উইকেট যেন বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্নের মঞ্চ। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষেও বাড়তি কোন সাহায্যের দেখা পায়নি বোলাররা। আর এমন পিচেই গত দুইদিনে চার ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশি ফিল্ডাররা। তাতে দলের সাথে বড় বেশি আক্ষেপ জড়িয়ে তাসকিন আহমেদের নাম। চার ক্যাচের তিনটিই তার বলে, একদম হাতে জমানোর মত সহজ ছিল দুটি।
প্রথম দিন সেঞ্চুরি তুলে নেয়া লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের সহজ ক্যাচ মিস করেছেন স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যাচ মিস না হলে ১১৮ রান করা করুনারত্নে তাসকিনের শিকার হয়ে ফিরতেন ২৮ রানে। ১৪০ রান করা লাহিরু থিরিমান্নেও সুযোগ তৈরি করেছেন তাসকিনের বলে। তাসকিনের ব্যাক অব লেংথের বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপ ও গালির মাঝ দিয়ে বাউন্ডারি হয়।
তবে আজ দ্বিতীয় দিন আবু জায়েদ রাহির করা ১২৩ তম ওভারের শেষ বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্ট অঞ্চলে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন পাথুম নিসাঙ্কা। ফিল্ডার তাইজুল লুফে নিতে না পারায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে হয় চার। ১০ রানে বেঁচে যাওয়া নিসাঙ্কা আউট হয়েছেন ৩০ রান করে। তবে ততক্ষণে ওশাদা ফার্নান্দোর সাথে ৫৪ রানের জুটি হয়ে যায়।
এরপর আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হওয়ার ৪ ওভার আগে তাসকিনের বলে রমেশ মেন্ডিসের সহজ ক্যাচ মিস করে স্লিপে দাঁড়ানো শান্ত। ৩৮২ রানে ৬ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা মেন্ডিস ও নিরোশান ডিকওয়েলার ৮৭ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতেই পথে থাকে। ১২ রানে জীবন পেয়ে মেন্ডিস অপরাজিত আছেন ২২ রানে। সাথে দলের ভীতও থাকছে শক্ত, আগামীকাল ডিকওয়েলার সাথে ৮৭ রানের জুটিকে আরও বড় করার সুযোগ পাচ্ছেন।
সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাল্লেকেলের ফ্ল্যাট উইকেটে লঙ্কানদের সংগ্রহ এখনো পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৪৬৯। ৬৪ রানে অপরাজিত ডিকওয়েলা। অথচ সহজ ক্যাচগুলো লুফে নিলে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়ে যেতেন দুর্দান্ত বোলিং করা তাসকিন।
ক্যাচ মিস প্রসঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সমেলনে তাইজুলের ভাষ্য, ‘সচরাচর টেস্ট ম্যাচে আমি পয়েন্টেই ফিল্ডিং করে থাকি। পয়েন্টে অথবা শর্ট গালি, সিচুয়েশনের ওপর ডিপেন্ড করে। তো ক্যাচ মিস খেলার একটা অংশ। কিন্তু ওই সময়ে ক্যাচ মিসটা হয়ত আমাদের টিমকে একটু ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে, হয়ত ওই ক্যাচটা ধরতে পারলে আরও অনেক ভালো পজিশনে থাকতাম। তবে এমন কিছু না, যে পয়েন্টে আমি ফিল্ডিং করি না।’