

লাঞ্চের আগের সেশনেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া বাংলাদেশ লাঞ্চের পরও স্বস্তিতে রাখেনি শ্রীলঙ্কাকে। আগের দিন চালকের আসনে থাকা শ্রীলঙ্কা ৬০০ রানের পাহাড় গড়তে চেয়েছিল। ১ উইকেটে ২৯১ রানে প্রথম দিন শেষ করা স্বাগতিকদের জন্য কাজটা সহজই হওয়ার কথা ছিল। তবে তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামদের তোপে সে পথটা কঠিন হয়ে গেল দ্বিতীয় দিনে এসে।
লাঞ্চের আগে ৪৩ রান তুলতেই হারিয়েছে ৩ উইকেট, লাঞ্চের পর আরও ২ উইকেট। চা বিরতির আগে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪২৫ রান। দিনের প্রথম সেশনে ওভার প্রতি দুইয়ের নিচের রান তোলা লঙ্কানরা দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে ওভার প্রতি ৩.০৩ রানে ৯১ রান যোগ করে স্কোরবোর্ডে।
৪ উইকেটে ৩৩৪ রানে লাঞ্চে যাওয়া শ্রীলঙ্কা লাঞ্চের পর কিছুটা সাবলীল খেলার চেষ্টা করেছিল। সেশনের প্রায় প্রথম ২০ ওভার অনায়েসেই কাটিয়ে দিচ্ছিল ৬৫ রানে লাঞ্চে যাওয়া ওশাদা ফার্নান্দো ও শূন্য রানে লাঞ্চে যাওয়া পাথুম নিসাঙ্কা। দুজনে জুটিতে ৫৪ রান যোগও করে ফেলে।
তবে এবারও জুটি ভাঙার দায়িত্বটা নিজের কাঁধে নেন টাইগারদের সেরা বোলার তাসকিন। প্রথম টেস্ট থেকেই ক্যান্ডির মরা পিচে নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন এই ডানহাতি পেসার। সেশনে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই ফিরিয়েছেন পাথুম নিসাঙ্কাকে। তার করা ১৩৬তম ওভারের ব্যাক অব লেংথের চতুর্থ বলটি নিচু হয়ে বোকা বানায় নিসাঙ্কাকে। বোল্ড হয়ে অনেকটা অবাকই যেন হয়েছেন লঙ্কান এই ব্যাটসম্যান। ৮৪ বলে ৩০ রানে ধরতে হয়েছে সাঝঘরের পথ।
৫ বলের ব্যবধানে ফিরে যান আরেক সেট ব্যাটসম্যান ওশাদা ফার্নান্দোও। তাইজুলের করা পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দেন ফার্নান্দো। কাছে গিয়েও ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটিকে রূপ দিতে পারেননি সেঞ্চুরিতে, ২২১ বলে ৮১ রানে থামতে হয়েছে। দুজনের বিদায়ের পর অবশ্য নিরোশান ডিকওয়েলা ও রমেশ মেন্ডিসের ব্যাটে পথ খুঁজছে স্বাগতিকরা। চা বিরতির আগে দুজনে অবিচ্ছেদ্য ৪৩ রানের জুটিতে। ২৯ বলে ৩১ রানে ডিকওয়েলা ও ৩১ বলে ১২ রানে অপরাজিত মেন্ডিস।
১ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল লঙ্কানরা। ১৩১ রানে লাহিরু থিরিমান্নে ও ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন ওশাদা ফার্নান্দো। আগেরদিন দুজনের অবিচ্ছেদ্য ৮২ রানের জুটি অবশ্য আজ বেশি দূর এগোতে পারেনি। তাসকিনের প্রথম শিকার হয়ে থিরিমান্নে ১৪০ রানে আউট হলে ভাঙে ০৪ রানের জুটি। থিরিমান্নের পর তাসকিন দ্রুতই ফেরান অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসকেও (৫)। তাইজুল ইসলামের বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ফিরেন মাত্র ২ রান করে। ১৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪ উইকেটে ৩৩৪ রানে লাঞ্চে গিয়েছিল স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (২য় দিন, চা বিরতি পর্যন্ত):
শ্রীলঙ্কা ৪২৫/৬ (১৪৬), করুনারত্নে ১১৮, থিরিমান্নে ১৪০, ওশাদা ৮১, ম্যাথুস ৫, ধনঞ্জয়া ২, নিসাঙ্কা ৩০, ডিকওয়েলা ৩১*, রমেশ ১২*; তাসকিন ২৯-৭-১০০-৩, শরিফুল ২৫-৬-৭৫-১, তাইজুল ৩৭-৭-৭৮-১।