

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ৩৮ রানে হেরে টানা দুই ম্যাচে জয়হীন কোলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা কোলকাতা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি কোন পর্যায়েই। তবে আন্দ্রে রাসেলের ক্যামিওতে শেষদিকে জয়ের স্বপ্ন কিছুটা হলেও উঁকি দেয়, আর ব্যাঙ্গালোর পেসার মোহাম্মদ সিরাজ সেটিকে ধপ করে নিভিয়ে দেন। ম্যাচ শেষে সিরাজকে প্রশংসায় ভাসালেন ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক ভিরাট কোহলি।
ম্যাচের বাইরে চলে যাওয়া কোলকাতাকে কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখানো আন্দ্রে রাসেল তখন ১৩ বলে ৩০ রান নিয়ে ক্রিজে। দলের প্রয়োজন দুই ওভারে ৪৪ রান। রাসেল যেভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে এই রান অসম্ভব কিছু মনে হচ্ছিল না, যুজবেন্দ্র চাহালের করা ১৭তম ওভারে আসে ২০ রান, কাইল জেমিসনের ১৮তম ওভারে ১৫ রান।
তবে আগের দুই ওভারে ১৬ রান খরচ করা মোহাম্মদ সিরাজ ১৯তম ওভারে আটকে দিলেন রাসেলকে। প্রথম ৫ বলে দেননি কোন রান, বাউন্ডারি হাঁকাতে না পারা রাসেল অবশ্য সিঙ্গেল নেয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি। শেষ বলে অবশ্য নিয়েছেন সিঙ্গেল, সিরাজের ওভার থেকে আসলো মাত্র এক রান। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ৪৩ রানের অসম্ভব লক্ষ্য। হারশাল প্যাটেলের করা ২০তম ওভারের প্রথম বলেই রাসেল বোল্ড হয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আন্দ্রে রাসেলের মত ছন্দে থাকা মারকুটে ব্যাটসম্যানকে সামলানোর কৃতিত্ব পেলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ভারতের সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরের পর এই পেসারের উন্নতি হয়েছে বলে জানান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক ভিরাট কোহলি।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেন, ‘রাসেলকে করা সিরাজের ওভারটি দারুণ ছিল। রাসেলের বিপক্ষে তার কিছু ভালো ইতিহাস আছে। অস্ট্রেলিয়া সফরের পরই সে ভিন্ন বোলারে পরিণত হয়েছে, আর সেই খেলাটা আজ থামিয়ে (কোলকাতার জয়ের স্বপ্ন) দিয়েছে। শেষদিকে হারশাল স্পষ্ট ছাপ রেখেছে, আমি মনে করি জেমিসনও (৩-০-৪১-৩) ভালো করেছে, আর এ কারণেই আমরা তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেলাম।’