

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) ২০২৮ সালের অলিম্পিকে নারী ও পুরুষ ক্রিকেট দল পাঠাতে সম্মত হয়েছে। ভারত নারী দল অবশ্য আগামী বছর বার্মিংহামে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ গেমসেও অংশ নিবে।
অলিম্পিকে ভারতের অংশ নেওয়ার ইচ্ছে আইসিসিকে (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল) অলিম্পিকে ক্রিকেট সংযুক্ত করার ব্যাপারে দারুণভাবে প্রেরণা জুগাবে। অলিম্পিকে সর্বশেষ ক্রিকেট ইভেন্ট হয়েছিল ১৯০০ সালে।
অলিম্পিকে ভারত ক্রিকেট দলের অংশ গ্রহনের ইচ্ছের বিষয়টি সম্মতিতে আসে গতকাল (১৬ এপ্রিল) বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কমিটির সভায়।
ভারতীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বিসিসিআইয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ‘বোর্ড এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে যে যদি লস অ্যাঞ্জেলস (২০২৮ সালে) অলিম্পিকে ক্রিকেট যুক্ত হয় তবে দুইটি (নারী ও পুরুষ) দলই পাঠাবে। এটি নারী ও পুরুষ উভয় ক্রিকেটের জন্যই দারুণ ব্যাপার হবে।’
সম্প্রতি ক্রিকেটের বিশ্বায়ন করতে আইসিসি যথেষ্ঠ চেষ্টা করছে অলিম্পিকের মত বিশ্বের অন্যতম বড় আসরে ক্রিকেট ইভেন্টকে যুক্ত করতে। ইতোমধ্যে একটি কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সাবেক বর্তমান অনেক তারকা ক্রিকেটারই চান অলিম্পিকে ক্রিকেট ইভেন্ট যুক্ত হোক। ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় ও ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এউইন মরগান তো কোন ফরম্যাটে হলে যুক্ত করা সহজ হবে সেটিও তুলে ধরেন।
দ্রাবিড়ের মতে, ‘যদি টি-টোয়েন্টি সংস্করণ অলিম্পিকে ইভেন্ট হয়; আমার মনে হয়, ক্রিকেটের জন্য এটা দারুণ ব্যাপার হবে। এখন অনেক দেশই ক্রিকেট খেলছে। আমি অবশ্যই টি-টোয়েন্টি খেলার সম্প্রসারণের পক্ষে।’
মরগান অবশ্য ১০ ওভারের নতুন ফরম্যাট টি-১০ কে অগ্রাধিকার দিলেন সময় কমানোর উদ্দেশে,
‘ক্রিকেটের অন্য তিন ফরম্যাটের চেয়েও টি–১০ ফরম্যাট অলিম্পিক বা কমনওয়েলথ গেমসের মতো ক্রীড়া আসরের জন্য খুবই আকর্ষণীয় হতে পারে। এর মূল কারণ টি–১০ ক্রিকেটের পুরো আয়োজনটি আপনি ১০ দিনের মধ্যে সেরে ফেলতে পারেন।’