

চলতি আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস খুব কাছে গিয়েও হেরেছে পাঞ্জাব কিংসের কাছে। ২২২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১১৯ রানের ইনিংস খেলেও দল জেতাতে পারেননি অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। ৪ রানে হারা ম্যাচে শেষ ওভারে সিঙ্গেল নেওয়ার সুযোগ পেয়েও নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ক্রিস মরিসে ভরসা করতে পারেনি স্যামসন। তার সিঙ্গেল না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ম্যাচ শেষে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করে। তবে রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক বলছে আরও ১০০ বার ঐ ম্যাচ খেললেও সিঙ্গেল নিবেন না তিনি।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ১৩ রান, ১১২ রানে ক্রিজে ছিলেন স্যামসন। ১ রানে অপরাজিত ক্রিস মরিস তাকে সঙ্গ দিতে প্রস্তুত। প্রথম বলে কোন রান না নিলেও দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন স্যামসন, তৃতীয় বলে ফের সিঙ্গেল নিয়ে স্যামসনকে স্ট্রাইক দেন মরিস। ফলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৩ বলে ১১!
চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান স্যামসন, ২ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫ রান। পঞ্চম বলে সহজ রান নেওয়ার সুযোগ পেয়েও ফিরিয়ে দেন নন স্ট্রাইক প্রান্তের মরিসকে। জিততে হলে ছক্কা হাঁকাতে হবে শেষ বলে, তবে স্যামসন ফিরেছেন দীপক হুদাকে ক্যাচ দিয়ে। পরে তার সিঙ্গেল না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বেশ সমালোচিত হয়।
প্রথম ম্যাচে ভরসা করতে না পারা মরিসই গতকাল (১৫ এপ্রিল) দ্বিতীয় ম্যাচে এনে দিল রাজস্থানকে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়। বল হাতে ১ উইকেটের সাথে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফিনিশিং। জয় পাওয়া বেশ কঠিন এমন পরিস্থিতি থেকেই ১৮ বলে ৪ ছক্কায় ৩৬ রানের ইনিংসে ২ বল হাতে রেখেই দলকে জয় এনে দেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান।
তার আগে ৪২ রানে ৫ উইকেট হারানো রাজস্থানকে পথ দেখান ডেভিড মিলার। ক্রিস মরিসের জন্য পথটা মসৃণ করতে খেলেছেন ৪৩ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় ৬২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।
অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন বলছেন খাদের কিনারায় থাকা দলকে জয়ের এনে দিবে মিলার-মরিস কিছুটা আশা করেছিলেন তিনি, ‘ মিলার ও মরিসে কিছুটা আশা ছিল, কিন্তু সত্যি বলতে আমি ভেবেছি কাজটা বেশ কঠিন হবে যেখান থেকে জিতেছে। তারা দারুণভাবে শেষ করেছে। এটা অনেকটাই কন্ডিশন পড়তে পারা।’
আগের ম্যাচে সিঙ্গেল নিয়ে মরিসকে স্ট্রাইক না দেওয়া প্রসঙ্গে রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক বলেন, ‘আমি সবসময় পেছনে ফিরি এবং আমার খেলা পর্যালোচনা করি। যদি আমি ঐ ম্যাচটা আরও ১০০ বার খেলি তবুও আমি বলবো সিঙ্গেলটা আমি নিব না।’