

ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলাতে থাকা ম্যাচে নায়ক থেকে খলনায়ক বনে গেলেন রাজস্থান রয়্যালসের সাঞ্জু স্যামসন। সেঞ্চুরি করেও শেষ বলে আউট হয়ে দলের পরাজয়ের সাথী হলেন তিনি। অন্যদিকে সেঞ্চুরি না পেলেও দলের জয়ে ঠিকই শামিল হলেন পাঞ্জাব কিংসের লোকেশ রাহুল। রাজস্থানের বিপক্ষে পাঞ্জাব কিংস জয় পেয়েছে ৪ রানে। দলের হারে পাশাপাশি আইপিএলে ফেরাটাও সুখকর হলো না মুস্তাফিজের। ৪ ওভার বল করে ৪৫ রান দিয়েও উইকেট শুন্য থাকেন তিনি।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঞ্জাবের অধিনায়ক রাহুল শুরু থেকে রাজস্থানের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন। অপর ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ১৪ রানে বিদায়ের পর তাকে সঙ্গ দেন ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইল। তাদের ৭৭ রানের জুটিতে গেইলের সংগ্রহ ছিল ৪০ রান।
গেইলের বিদায়ের পর শুরু হয় দীপক হুদার তাণ্ডব। মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরির কোটা পূরণ করেন হুদা। রাহুলের সাথে তার ৪৬ বলে ১০৫ রানের জুটিই দলকে বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে দেয়। হুদার ২৮ বলে ৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৪ চার ও ৬ ছক্কার মার।
সেঞ্চুরির পথে এগুতে থাকা রাহুল ৯১ রান করে আউট হন। ৭টি চার ও ৫টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে ইনিংসের শেষ ওভারে। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২২১ রানের পাহাড় গড়ে পাঞ্জাব কিংস।
রাজস্থানের পক্ষে চেতন সাকারিয়া ৩টি এবং ক্রিস মরিস ২টি উইকেট নেন।
View this post on Instagram
২২২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১ম ওভারে বেন স্টোকসকে হারিয়ে বসে রাজস্থান রয়্যালস। অপর ওপেনার মানান ভোহরাও ১২ রানের বেশি করতে পারেননি।
তবে প্রথমবারের মত অধিনায়কত্বে এসে ব্যাটিংয়ে আস্থার প্রতিদান দেন সাঞ্জু স্যামসন। এক প্রান্ত আগলে রেখে একের পর এক দর্শনীয় শট খেলতে থাকেন। জস বাটলার, শিবাম দুবে এবং রিয়ান পরাগরা ক্রিজে এসে নিজেদের ইনিংস লম্বা করতে না পারলেও স্যামসনের সাথে জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন।
৫৪ বলে আইপিএলে নিজের ৩য় শতক পূরণ করেন তিনি। শেষ বলে ৫ রানের দরকার ছিল রাজস্থানের। আর্শ্বদ্বীপের বলে এক্সট্রা কাভারের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে দীপক হুদার হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফলে ২১৭ রানে থামতে হয় রাজস্থানকে। স্যামসন ৬৩ বলে ১২ চার ও ৭ ছক্কায় ১১৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন।
পাঞ্জাবের পক্ষে আর্শ্বদ্বীপ ৩টি এবং সামি ২ উইকেট নেন। দলকে জয় এনে দিতে না পারলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার ঠিকই পান স্যামসন।
View this post on Instagram
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পাঞ্জাব কিংসঃ ২২১/৬ (২০), রাহুল ৯১, আগারওয়াল ১৪, গেইল ৪০, হুদা ৬৪, পুরান ০, শাহরুখ ৬, রিচার্ডসন ০; সাকারিয়া ৪-০-৩১-৩, মুস্তাফিজ ৪-০-৪৫-০, মরিস ৪-০-৪১-২, গোপাল ৩-০-৪০-০, স্টোকস ১-০-১২-০, তেওয়াটিয়া ২-০-২৫-০, পরাগ ১-০-৭-১, দুবে ১-০-২০-০
রাজস্থান রয়্যালসঃ ২১৭/৭ (২০), স্টোকস ০, ভোহরা ১২, স্যামসন ১১৯, বাটলার ২৫, দুবে ২৩, পরাগ ২৫, তেওয়াটিয়া ২, মরিস ২* ; শামি ৪-০-৩৩-২, রিচার্ডসন ৪-০-৫৫-১, আর্শদ্বীপ ৪-০-৩৫-৩, মেরেডিথ ৪-০-৪৯-১, মুরুগান ৪-০-৪৩-০
ফলাফলঃ পাঞ্জাব কিংস ৪ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ সাঞ্জু স্যামসন (রাজস্থান রয়্যালস)।