

বিশ্বের ৬ষ্ঠ এবং ২য় পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে ১০০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের বর্ষীয়ান ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামলে এ মাইলফলক স্পর্শ করবেন তিনি।
শোয়েব মালিক (১১৬), রোহিত শর্মা (১১১), মার্টিন গাপটিল (১০২), এউইন মরগান (১০২) এবং রস টেইলরের (১০২) পর ৪০ বছর বয়স্ক হাফিজই টি-টোয়েন্টিতে শততম বা তার অধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড করবেন। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
২০০৬ সালের আগস্টে ব্রিস্টলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শুরু করেন প্রফেসরখ্যাত এ ব্যাটসম্যান। ৫ উইকেটে জয় পাওয়া সে ম্যাচে ৪৬ রান করেছিলেন তিনি।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০১৩ সালের নভেম্বরে নিজের ৫০ তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিও জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে হাফিজ খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সে ম্যাচে ২৫ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তবে স্বাগতিকরা বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি ৪ রানে জিতে নিয়েছিল।
এছাড়াও আজকের ম্যাচে মাত্র ১৩ রান করতে পারলে শোয়েব মালিককে টপকে পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান স্কোরার হবেন হাফিজ। এখন ২৩২৩ রান করেছেন হাফিজ। অন্যদিকে শোয়েব মালিকের সংগ্রহ ২৩৩৫ রান।
৬টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যে ৫টিতে পাকিস্তানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন হাফিজ। ২০০৯ সালের বিশ্বকাপে তিনি খেলতে পারেননি। ইউনুস খানের নেতৃত্বে লর্ডসে সে বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছিল পাকিস্তান।
হাফিজের ডাবল অর্জনের (সম্ভাব্য) দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ১ম ম্যাচে অংশ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান। ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতে শুভ সূচনা করতে আগ্রহী তারা।