

দক্ষিণ আফ্রিকার লড়াইটা ছিল ফখর জামানের সাথে। একা হাতে ম্যাচটা ধরে রেখেছিলেন পাকিস্তানের পক্ষে। তবে শেষ পর্যন্ত জয়টা প্রোটিয়াদেরই হলো। ২য় ওয়ানডেতে ১৭ রানে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনলো তারা। বিফলে গেল ফখরের দ্বিশতক ছুঁইছুঁই রেকর্ড গড়া ইনিংস।
জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ৩৪২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিংয়ে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেললেন ফখর। এক প্রান্তে যখন নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতন ঘটছিল, তখন অন্য প্রান্তে তিনি ছিলেন সাবলীল। ১৫৫ বল মোকাবেলা করে ১৫টি চার ও ১০টি বিশাল ছক্কার সাহায্যে ১৯৩ রান করেন। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে কোন ব্যাটসম্যানের এটি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। তবে পার করতে পারলেন না স্বদেশী সাবেক ওপেনার সাঈদ আনোয়ারকে (১৯৪), পাননি নিজের দ্বিতীয় দ্বিশতকও।
View this post on Instagram
দলের ৯ম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফখর যখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউটের শিকার হন, তখনও জয় থেকে ৩০ রান দূরে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ৩২৪ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। জয় না পেলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার ঠিকই জিতে নেন ফখর জামান।
ফখরের ১৯৩ রান ছাড়া বলার মত রান করেছেন অধিনায়ক বাবর আজম (৩১)। এছাড়া আসিফ আলি ১৯ এবং শাদাব খান ১৩ রান করলেও ফখরকে যোগ্য সহায়তা দিতে পারেননি।
প্রোটিয়াদের পক্ষে আনরিখ নরকিয়া ৩টি ও আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো ২টি উইকেট নেন।
এর আগে গোলাপি পোশাক পরিধান করে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ হাফ সেঞ্চুরির সহায়তায় ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪১ রানের বড় সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক হিসেবে ১ম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও ২য় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নিজের জাত প্রদর্শন করেন টেম্বা বাভুমা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন তিনি। এছাড়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক ৮০ রান করেন।
তবে ব্যাটে ঝড় তোলেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন এবং ডেভিড মিলার। ডুসেন মাত্র ৩৭ বলে ৬০ রান করে আউট হলেও মিলার মাত্র ২৭ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের পক্ষে হারিস রউফ ৩ উইকেট নেন।
সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের ৩য় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ৭ এপ্রিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৪১/৬ (৫০), ডি কক ৮০, মার্করাম ৩৯, বাভুমা ৯২, ডুসেন ৬০, মিলার ৫০*, ক্লাসেন ১১, ফেলুকওয়ায়ো ৩, রাবাদা ১*; শাহীন শাহ ১০-১-৭৫-১, হাসনাইন ১০-০-৭৪-১, ফাহিম ৯-০-৬২-১, রউফ ১০-০-৫৪-৩
পাকিস্তান ৩২৪/৯ (৫০), ইমাম ৫, ফখর ১৯৩, বাবর ৩১, রিজওয়ান ০, দানিশ ৯, শাদাব ১৩, আসিফ ১৯, ফাহিম ১১, শাহীন শাহ ৫, রউফ ১*, হাসনাইন ১২*; রাবাদা ১০-২-৪৩-১, এঙ্গিডি ৯-০-৬৬-১, ফেলুকওয়ায়ো ১০-০-৬৭-২, নরকিয়া ১০-১-৬৩-৩, শামসি ৭-০-৬০-১
ফলাফলঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭ রানে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ ফখর জামান (পাকিস্তান)।