

নিউজিল্যান্ড সফর ও খালি হাতে দেশে ফেরা যেন একই সুতোয় গেঁথে গেছে বাংলাদেশ দলের। এর আগে কয়েক দফা কিউই মুল্লুকে তিন ফরম্যাটে ২৬ ম্যাচেই হার। এবারের সফরে সমান তিনটি করে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলে সবকটিতেই সঙ্গী হয়েছে পরাজয়। আজ (১ এপ্রিল) অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে বৃষ্টি বিঘ্নিত সফরের শেষে ম্যাচে হারতে হয়েছে ৬৫ রানে। চোটের কারণে এই ম্যাচ না খেললেও টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলছেন ভুলে যেতে চান এমন ব্যর্থতায় ভরা সিরিজ।
এর আগে নিউজিল্যান্ড সফরে কোন জয় না পাওয়া বাংলাদেশ এবারের সফর নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিল। তবে সফরে সবগুলো ম্যাচ শেষে প্রাপ্তির খাতাটা শূন্যই রয়ে গেল। আজ অকল্যান্ডে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ছিল শেষ সুযোগ। অথচ বৃষ্টির কারণে অর্ধেক দৈর্ঘ্যে নেমে আসা ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে।
টাইগার বোলারদের ৬০ বলে ২২ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৪২ রানের লক্ষু ছুঁড়ে দেয় কিউইরা। জবাবে ৭৬ রানেই অলআউট সফরকারীরা। যে হার দিয়ে সফরের সবকটি ম্যাচেই হার নিশ্চিত হয়। চোটের কারণে ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করেন লিটন দাস। ম্যাচ শেষে অবশ্য সংবাদ সম্মেলন সামলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই।
এমন সিরিজ দ্রুত ভুলে যেতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৭৬ রানে অল আউট হলে সেখান থেকে ইতিবাচক কিছু নেওয়ার থাকে না। আমার মনে হয় আমরা সিরিজজুড়ে আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলিনি। আমরা এখানে আগে এসেছি, নিজেদের প্রস্তুত করেছি, কুইন্সটাউনে ভালো একটি ক্যাম্প করেছি, ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছিল, জিমে কাজ করছিল, কিন্তু আমরা মাঠে সেটি দেখাতে পারিনি। অধিনায়ক হিসেবে এটা হতাশাজনক। কিন্তু তারপরও আমাদের এই সিরিজ থেকে কিছু বের করতে হবে যা নিয়ে আমরা পরের সিরিজের জন্য কাজ করতে পারব। এবং অবশ্যই আমরা এই সিরিজটি ভুলতে চাইবো।’
নিউজিল্যান্ডে এর আগে কয়েকবারই খেলেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের মত সিনিয়র ক্রিকেটাররা। আবার জাতীয় দলের সাথে আফিফ হোসেন, নাইম শেখ, শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলামেদের জন্য যাত্রাটা প্রথমই ছিল। টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলছেন তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে চান নতুনদের মাঝে।
তিনি বলেন, ‘খুব সম্ভবত আমাদের (সিনিয়র) অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে হবে তাদের (জুনিয়র) মধ্যে কারণ আমরা এখানে বেশ কয়েকবার খেলেছি। কয়েকজন দুই-এক বার খেলেছে, কয়েকজন একদমই নতুন। এবং এখানের কন্ডিশন খুবই কঠিন। আমাদের সেই অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে হবে এবং শিখে সেটাকে আগামী বার কাজে লাগাতে পারে। আমি অনেক কিছুই বলতে পারি কিন্তু দিনশেষে আপনাকে সেটি পারফরমেন্সেই দেখাতে হবে। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। খুবই হতাশাজনক সিরিজ আমাদের জন্য কিন্তু আমাদের দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
‘কারণ আমাদের যেকোন ফরম্যাটে কিছু জয় খুবই প্রয়োজন আমাদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে। আমার মনে হয় আমরা আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছি হারের কারণে। যা পুরো দলকে প্রভাবিত করে। আমাদের জয় পাবার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আমাদের সামনে কিছু সুযোগ ছিল, আমার মনে হয় আমরা খুব কাছে ছিলাম, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও প্রতিযোগিতায় ছিলাম। কিন্তু কিছু মুহূর্তের ব্যাপারে আমাদের সাবধান থাকতে হবে যেন পরের বার আমরা সেই সুযোগগুলো নিতে পারি।’