

নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কেও হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের । তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সব ছাপিয়ে আলোচনায় ডার্কওয়ার্থ লুইস (ডি/এল) পদ্ধতিতে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ। বাংলাদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেও ব্যাটসম্যানরা জানেনা তাদের লক্ষ্য কত। শেষ পর্যন্ত ১৬ ওভারে ১৭০ রান তাড়া করতে গিয়ে হেরেছে ২৮ রানে। ম্যাচ শেষে টাইগার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো জানালেন এমন ম্যাচ কখনোই দেখেননি।
একদিকে বৃষ্টির মাঝে বোলিং, ফিল্ডিং করতে হয়েছে বলে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা পেয়েছে সুবিধা। অন্যদিকে ডি/এল মেথডে লক্ষ্য ঠিক করা নিয়ে ঝামেলা। বিপক্ষে যাওয়া সবকিছুর রাতে ম্যাচ হেরে ডোমিঙ্গো জানালেন হতাশার রাত কাটবে।
আবহাওয়া পূর্বাভাস মেনে বৃষ্টি নামে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ইনিংসের সময়। দুই দফার বৃষ্টিতে প্রথমে ২৫ ও পরের দফায় ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। দ্বিতীয় দফায় খেলা বন্ধ হওয়ার সময় নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩।
পরে বৃষ্টিতে নির্ধারিত সময় পার হওয়ায় তারা আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি। তবে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে গেলেও জানেনা তাদের জন্য লক্ষ্য কত ঠিক হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৬ ওভারে ১৪৮ ঠিক হলেও পরে জানানো হয় আনুষ্ঠানিকভাবে লক্ষ্য জানানো হবে দ্রুতই। ১.৩ ওভার ব্যাট করার পর আম্পায়ার খেলা থামিয়ে অপেক্ষা করেন প্রকৃত লক্ষ্য জানার জন্য। ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো’র পাঠানো বার্তা অনুসারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৭০।
এমন অদ্ভুত হিসাব নিকাশ নিয়ে ম্যাচ শেষে বিস্মিত বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন,
‘আমার মন হয় আমি কখনো এমন কোনো ম্যাচ দেখিনি। কেউ জানতাম না লক্ষ্য কত, ডাকওয়ার্থ লুইসের হিসেব কীভাবে হচ্ছে। পাঁচ ওভার পর কত রান রাখা চাই- কেউই জানত না। আগে কখনোই এমন ম্যাচ দেখিনি। ম্যাচ শুরু হয়ে গেছে অথচ কেউ জানেই না কত রান করতে হবে! ডাকওয়ার্থ লুইসের হিসেবনিকেশ শেষ করার পর ম্যাচ শুরু করা উচিৎ ছিল। কত ওভারে আমাদের কত রান করতে হবে তা নির্ধারণ করে দিয়ে খেলা শুরু করা উচিৎ ছিল। এমনটি দেখা মোটেও সুখকর নয়।’
‘তারা (ব্যাটসম্যানরা) স্কোরের জন্য অপেক্ষা করছিল। এক দুই বল অপেক্ষা করার পরও কিছু জানতে পারছিল না। তখনো অপেক্ষা করছিল। আমাদের জন্য এটা অনেক হতাশাজনক। তারা নাকি স্কোর প্রিন্ট আউটের অপেক্ষা করছিল। এভাবে তো খেলায় দেরি করা যায় না।’
এদিকে দুই দফা খেলা বন্ধ হলেও বৃষ্টির মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ বল করতে হয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের। ভেজা আউটফিল্ডে ফিল্ডিংও মিস হয়েছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশকে পরাজয় উপহার দিতে প্রকৃতিও বিপক্ষে ছিল বলছেন রাসেল ডোমিঙ্গো।
তিনি বলেন, ‘কোনো দলকে এতক্ষণ (বৃষ্টিতে) ফিল্ডিং করতে দেখিনি। বৃষ্টি হচ্ছিল, মাঠ পিচ্ছিল ছিল। কোনো অজুহাত দিব না। তবে মনে হচ্ছিল প্রকৃতিও বুঝি এই সন্ধ্যায় আমাদের বিরুদ্ধে। বৃষ্টির মধ্যেও মাঠ ঢেকে রাখা হচ্ছিল না। খুব হতাশাজনক এক রাত।’