

প্রথম শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার হিসেবে যেকোন পেশাদার ক্রিকেটে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা হাঁকালেন শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। ১৩ বলে অপরাজিত ৫২ রান করে একইসাথে লিস্ট এ ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি আদায় করে নিলেন তিনি।
রবিবার শ্রীলঙ্কার মেজর ক্লাব ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আর্মি স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে এমন বিধ্বংসী কাণ্ড ঘটিয়েছেন পেরেরা।
শ্রীলঙ্কার লিস্ট এ ক্রিকেটে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির মালিক সাবেক অলরাউন্ডার কৌশল্য বীরারত্নে। ২০০৫ সালের নভেম্বরে রাগানা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে কুরুনেগালা যুব ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ১২ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেছিলেন তিনি। সে ইনিংসটি ১৮ বলে ৬৬ রান পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৮টি ছক্কার মার। ঐ ম্যাচে এক ওভারে পাঁচটি ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
৪১ ওভারের ম্যাচে পেরেরা যখন ৫ নাম্বারে ব্যাট করতে নামেন, তখন ইনিংস শেষ হতে আর মাত্র ২০টি বল বাকি ছিল। ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট এবং অ্যাথলেটিক ক্লাবের অভিজ্ঞ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার এবং পার্টটাইম অফ স্পিনার দিলহান কুরের এক ওভারে ছয়টি ছক্কা হাঁকান পেরেরা। কুরে ৪ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি ম্যাচে।
২০২১ সালে কাইরন পোলার্ডের পর পেরেরা হলেন ২য় ক্রিকেটার, যিনি ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকালেন। তিন সপ্তাহ আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আকিলা ধনঞ্জয়ার এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকান পোলার্ড। স্যার গারফিল্ড সোবার্স, রবি শাস্ত্রী, হারশেল গিবস, যুবরাজ সিং, রস হুইটলি, হযরতউল্লাহ জাজাই, লিও কার্টার এবং পোলার্ডের পর পেরেরা হলেন পেশাদার ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকানো নবম ক্রিকেটার।
পেশাদার ক্রিকেটে ১ ওভারে ৬ ছক্কা-
গ্যারফিল্ড সোবার্স (প্রথম শ্রেণি)- ১৯৬৮
রবি শাস্ত্রি (প্রথম শ্রেণি)- ১৯৮৫
হার্শেল গিবস (ওয়ানডে)- ২০০৭
যুবরাজ সিং (আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি)- ২০০৭
রস হুইটলি (টি-টোয়েন্টি)- ২০১৭
হযরতউল্লাহ জাজাই (টি-টোয়েন্টি)- ২০১৮
লিও কার্টার (টি-টোয়েন্টি)- ২০২০
কাইরন পোলার্ড (আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি)- ২০২১
থিসারা পেরেরা (লিস্ট-এ)- ২০২১।