

হ্যামিল্টনের সেডন পার্কের ব্যাটিং স্বর্গে টি-টোয়েন্টিতে ২১০ রান তাড়া করা অসম্ভব কিছু নয়। তবে এমন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই কিনা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর যা একটু ভয়ডরহীন ব্যাটিং করলেন সফরে প্রথমবার খেলতে নামা আফিফ হোসেন। ম্যাচ শেষে আফিফ জানালেন এই রান তাড়া করা অসম্ভব ছিল না। তবে ইশ সোধিকে সামলানোর যে পরিকল্পনা ছিল তা ভেস্তে গেছে বলেও মত এই অলরাউন্ডারের।
সেডন পার্কে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া নিউজিল্যান্ড ডেভন কনওয়ে (৯২*) ও অভিষিক্ত উইল ইয়াংয়ের (৫৩) ব্যাটে চড়ে ৩ উইকেটে ২১০ রানের বড় সংগ্রহ পায়। বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুটাও হয়েছে ভালো তবে শট নির্বাচনে ভুল করে ব্যাটসম্যানরা নিরীহ সব বলেও বিলিয়ে দিয়েছেন উইকেট।
লকি ফার্গুসনের পেসের পর ইশ সোধির স্পিনে ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই ওভারে জোড়ায় জোড়ায় উইকেট লেগ স্পিনার সোধি। এমনকি জাগিয়েছেন হ্যাটট্রিক সম্ভাবনাও। শেষ পর্যন্ত আফিফের ৩৩ বলে ৪৫ রানের সাথে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ৩৪ রানে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানে থামে বাংলাদেশ।
আফিফ-সাইফ যখন ব্যাট করছিল তখনো বল সুন্দর ব্যাটে আসছিল, চাপের মধ্যে থেকেও দুজনে খেলেছেন বড় বড় শটও। ম্যাচ শেষে আফিফ বলেছেন ব্যাটসম্যানরা আরেকটু হিসেব করে খেললেই জয় পাওয়া সম্ভব ছিল।
আফিফ বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য আমার মনে হয় উইকেটটা ভালোই ছিল। কারণ স্ট্রেইটে একটু ছোট গ্রাউন্ড ছিল, তো ব্যাটসম্যানদের পক্ষে ছিল যে জিনিসটা। ওদের ব্যাটসম্যানরা এই যে গ্রাউন্ডের বেনিফিটটা বেশ ভালোভাবে নিতে পেরেছে। আমরা আরও ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম হয়তো।’
‘মাঠের সাইজ যেহেতু ছোট ছিল এধরনের স্কোর অবশ্যই তাড়া করা সম্ভব ছিল বলে আমার মনে হয়। আমাদের ব্যাক টু ব্যাক উইকেটগুলো না পরলে হয়তো এই রান আমরা তাড়া করতে পারতাম।’
ইশ সোধির মত অভিজ্ঞ স্পিনারকে দেখেশুনে খেলে অন্যদের উপর চড়াও হওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তবে উলটো সোধিকেই পর পর দুই ওভারে দিয়ে এসেছে ৪ উইকেট। সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শেখ মেহেদী হাসানরা উইকেট দিয়েছেন অনেকটা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে। ২৮ রানে ৪ উইকেট সোধির।
সোধিকে সামলানোর পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আফিফ বলেন, ‘সোধি ব্যাক টু ব্যাক যে উইকেটগুলো পেয়েছে তখন আমার প্ল্যান ছিল যে, তাকে বাদ দিয়ে অন্য বোলারদের টার্গেট করা। ওর একটা ওভারেই দুই তিনটা উইকেট পরে যায় তাই এই ওভারটা আমাদের জন্য ব্যাকফুটে যাওয়ার মতো ওভার ছিল।’