

আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে তিন ফরম্যাটেই দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। পুরো সিরিজেই ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করেছে শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদুল হাসান জয়, তানভীর ইসলাম, সুমন খানরা। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন পারফর্মাদের আগামী বছর এইচপির প্রোগ্রামেই জাতীয় দলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করে ফেলবেন।
বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটার। যাদের অধিকাংশই আবার যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেটার। সিরিজে সবগুলো ম্যাচই সামনে থেকে দেখা প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বেশ আশাবাদী। ভালো পারফর্ম করাদের এইচপির পরবর্তী বছরের প্রোগ্রামেই জাতীয় দলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করে ফেলতে চান প্রধান নির্বাচক।
গতকাল (১৬ মার্চ) সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি শেষে মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এই সিরিজ থেকে আমরা কিছু ভালো জিনিস পেয়েছি। কয়েকজন খেলোয়াড় ভালো পারফরম্যান্স করেছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই অনেক কিছু ইতিবাচক। আগামীতে আন্তর্জাতিক আঙিনায় এই খেলোয়াড়দের তৈরি করা…অবশ্যই আগামী বছর যে প্রোগ্রামটা হবে এর থেকেই আমরা ৪-৫ জনকে পুরোপুরি জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করে ফেলতে পারবো।’
একমাত্র চারদিনের ম্যাচে ইয়াসির আলি রাব্বি, সাইফ হাসানদের সাথে বল হাতে একাই ভেল্কি দেখান বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। তার দুই ইনিংসে ১৩ উইকেট শিকারে ইনিংস ব্যবধানে হারতে হয় সফরকারীদের। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি পরিত্যক্ত হলেও পরের চার ম্যাচে টানা জয় বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের।
ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ পাঁচ রান সংগ্রাহকের চারজনই বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের। ২৮৫ রান নিয়ে সবার উপরে মাহমুদুদল হাসান জয়, ২২৭ রান এসেছে তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শামীম পাটোয়ারীতো আরেকবার জানান দিয়ে রাখলেন ফিনিশার হওয়ার কতটা সামর্থ্য আছে তার। বিশেষ করে পরিস্থিতি বুঝে পাওয়ার হিটিংয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দেখিয়েছেন ঝলক।
একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাট হাতে ফিফটি হৃদয়ের, ১১ বলে ২৮ রানের ক্যামিও শামীমের ব্যাট থেকে। বল হাতে একাই চার উইকেট ওয়ানডে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সুমন খানের। বাঁহাতি স্পিনার তানভীরও তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট।