সেঞ্চুরির চিন্তা না করা হৃদয় আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করার অপেক্ষায়

শাহাদাত হোসেন তৌহিদ হৃদয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯
Vinkmag ad

আজ মিরপুরে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ ইমার্জিং। সফরকারীদের দেওয়া ১৮৩ রান টপকাতে গিয়ে সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও অপরাজিত থাকতে হয় মাহমুদুল হাসান জয় ও তৌহিদ হৃদয়কে। প্রতিপক্ষের সংগ্রহ কম বলেই তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই দুই সদস্যের। তবে ম্যাচ শেষে হৃদয় জানালেন সেঞ্চুরির কথা মাথায় না এনে বল বুঝে খেলার চেষ্টা করেছেন।

১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০ রানেই নেই বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের দুই উইকেট। তবে সেখান থেকে শুধু বিপর্যয় কাটানো নয় অবিচ্ছেদ্য ১৭৬ রানের জুটিতে ৫১ বল হাতে রেখেই দলকে জেতান জয়-হৃদয়। ফলে প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর টানা তিন জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ স্বাগতিকদের।

৯৭ বলে ৯ চারে হৃদয় অপরাজিত ছিলেন ৮৮ রানে। অন্যদিকে জয় অপরাজিত ছিলেন ১৩৫ বলে ৮ চারে ৮০ রানে। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হৃদয় জানালেন সেঞ্চুরি না ভেবে বলের ম্যারিট বিবেচনায় খেলার চেষ্টা করেছেন।

২০ বছর বয়সী এই তরুণ বলেন,

‘সেঞ্চুরি নিয়ে কোনো কথা হয়নি (ক্রিজে থাকা জয়ের সাথে)। যে ফ্লোতে খেলছিলাম, সেভাবেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমি যদি টার্গেট নিতাম সেঞ্চুরির, হয়তো অন্যকিছু হতো। আমি চেষ্টা করেছি বলের ম্যারিট অনুযায়ী খেলার।’

এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জেতা বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের লক্ষ্য পরের ম্যাচ জিতে সফরকারীদের ধবল ধোলাই করা,

‘অবশ্যই এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দিবে। আপনি যদি দেখেন তিনটা ম্যাচ আমরা খুব ভালোভাবে জিতেছি। সেখান থেকে একটা অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। আমি আশা করি যেহেতু আমরা সিরিজের প্রথম থেকে ডমিনেট করছি। পরের ম্যাচ ভালো করে পুরো হোয়াইট ওয়াশ করবো।’

মিরপুরের আনপ্রেডিক্টেবল উইকেটে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ইমার্জিং অধিনায়ক সাইফ হাসান। আগে থেকেই টস জিতলে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবে মনস্থির করেছিল সাইফ, হৃদয়রা।

আর সেটি দারুণভাবে কাজেও লাগায় বোলাররা। বিশেষ করে পেসার সুমন খান ছিলেন দাপুটে, নিয়েছেন ৪ উইকেট। এর বাইরে আরেক পেসার মুকিদুল ইসলামের শিকার দুইটি। দুই স্পিনার রাকিবুল হাসান ও সাইফ হাসানও তুলে নেন দুইটি করে উইকেট।

তৌহিদ হৃদয় বলেন,

‘আসলে মিরপুরের উইকেট আনপ্রেডিক্টেবল। কেউ আসলে বলতে পারে না কখন কী হবে। আমরা যখন ব্যাট করছিলাম তখনও উইকেট সহজ ছিল না, বল টার্ন করতেছিল, বাউন্স করছিল। আমাদের টার্গেট ছিল টস জিতে ফিল্ডিং নিবো। সেভাবেই আমরা এগিয়েছি। আমাদের বোলাররা সেভাবেই এক্সিকিউট ছিল। আমাদের টার্গেট ছিল যখন যেই আসি অপরচুনিটি পেলেই নিজেকে ইউটিলাইজ করা।’

‘সবাই পারফর্ম করার জন্য মরিয়া। ইনশাআল্লাহ আরও ভালো কিছু করবো আমরা। মিরপুরে সকালে একটু এডভান্টেজ থাকে। আমরা ওটাই ট্রাই করছি কীভাবে প্রথম ঘণ্টার সুবিধা নিতে পারবো। আমাদের বোলাররাও সেভাবে চেষ্টা করেছে। আমরা সাকসেস হইছি ওই জায়গায়। প্রথমেই চার পাঁচটা উইকেট পেয়ে গেছি। ওখান থেকেই খেলাটা ভালো হইছে।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

আয়ারল্যান্ড উলভসের অভিজ্ঞদের বিপক্ষে যেভাবে সাবলীল তৌহিদ হৃদয়রা

Read Next

দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের দল ঘোষণা

Total
14
Share