

চট্টগ্রাম টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক দেশের সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির একক মালিক বনে গেলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন তামিম ইকবালের সাথে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে খেলেছেন ১৩২ রানের ইনিংস। ৯ সেঞ্চুরি নিয়ে পাশে বসেছিলেন শীর্ষে থাকা তামিম ইকবালের।
করোনার দীর্ঘ বিরতি শেষে আবারও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরেই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন টাইগারদের টেস্ট কাপ্তান। এই সেঞ্চুরি সহ তার ১০ সেঞ্চুরির ৭ টিই চট্টগ্রামের এই মাঠে। এই নিয়ে ৮ বার জহুর আহমেদে চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফিফটির দেখা পেয়ে ৭ টিকেই সেঞ্চুরিতে রূপ দিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
Mominul Haque has surpassed Tamim Iqbal (9). He is now have the most test hundreds for Bangladesh. #BANvWI #MominulHaque https://t.co/kf8LMnVwP5
— Shihab Ahsan Khan (@shihabahsankhan) February 6, 2021
প্রথম ইনিংসে ২৬ করে আউট হওয়া মুমিনুলের ব্যাটে ছিল কিছুটা জড়তা, অস্বস্তিতে ভুগেছেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের দেওয়া শর্ট বলে। রাখিম কর্নওয়াল, জোমেল ওয়ায়রিক্যানদের স্পিন খেলতে গিয়ে ভুগেছেন। আউটও হয়েছেন জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন সাবলীল। আগেরদিন দলের বিপর্যয়ে দিয়েছেন হাল ধরার আভাস। ১ রানে ২ ও ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে আশার আলো দেখান মুমিনুল। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে, আজ মুশফিক ইনিংস লম্বা করতে না পারলেও লাঞ্চের আগে মুমিনুল তুলে নেন ফিফটি।
৮৪ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন ৫ চারের সাহায্যে। লাঞ্চের আগে ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই, লিটন দাসকে নিয়ে দলীয় সংগ্রহও বাড়িয়েছেন দ্রুততার সাথে। লাঞ্চে গিয়েছেন ১২৭ বলে ৯ চারে ৮৩ রানে। পুরো ইনিংসে ছিল বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণ। বলের মুভমেন্ট বুঝে খেলেছেন শট, গ্যাব্রিয়েলের পাতা ফাঁদেও ধরা দেননি।
লাঞ্চের পর ৯০ এর ঘরে যেতে মুমিনুল খেলেন ২৩ বল। ৯৯ তে পৌঁছাতে খেলেছেন আরও ২১ বল। ৬০ তম ওভারের শেষ বলে জোমেল ওয়ারিক্যানকে ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে পৌঁছান ৯৯ তে। এরপর তিন অঙ্ক ছুঁতে সময় নেন মাত্র ২ বল। কর্নওয়ালের করা ৬১ তম ওভারের চতুর্থ বলকে শর্ট কাভারে পাঠিয়ে ছুঁয়েছেন তিন অঙ্ক। পুরো ইনিংসের মত উদযাপনেও ছিলেন নিয়ন্ত্রিত। ১৭৩ বলে সেঞ্চুরি করার পথে হাঁকিয়েছেন ৯ চার।
তার সেঞ্চুরির সাথে লিটন দাসের ফিফটিতে বাংলাদেশের লিড পেরিয়েছে ৩৫০। সেঞ্চুরির পর ফিরেছেন মুমিনুল, লিটন ফিরেছেন (৬৯) তারও আগে সেঞ্চুরির আক্ষেপ বাড়িয়ে।
১১৫ রানের ইনিংস খেলার পথে মুমিনুল প্রবেশ করেছেন তিন হাজারি ক্লাবে। তার আগে এই বাংলাদেশিদের মধ্যে এই কীর্তি আছে হাবিবুল বাশার সুমন (৩০২৬), সাকিব আল হাসান (৩৯৩০), তামিম ইকবাল (৪৪১৪) ও মুশফিকুর রহিম (৪৪৬৯)।
১৮২ বলে ১০ চারে ১১৫ রান করে মুমিনুল আউট হন গ্যাব্রিয়েলের বলে কেমার রোচককে ক্যাচ দিয়ে। ততক্ষণে তার নামের পাশে ৩০০১ টেস্ট রান। তামিমের সাথে মুমিনুলই বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্রুততম ৩ হাজার রান করা ব্যাটসম্যান। দুজনেরই লেগেছে সমান ৭৬ ইনিংস।