

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া পেসারদের মধ্যে আধিপত্য সিলেট বিভাগের আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদের। আবু জায়েদ রাহি জানালেন সিলেট বিভাগীয় দলে তিনজনকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বলেই জাতীয় পর্যায়েও তাদের সমান বিচরণ।
টেস্ট ক্রিকেট মানেই বোলারদের লম্বা স্পেলে বল করা। এই কাজটা স্পিনারদের জন্য তুলনামূলক সহজ হলেও পেসারদের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশে ক্রিকেটে এমন সামর্থ্যের পেসার এসেছে কালে ভদ্রে। তালহা জুবায়ের, মাশরাফি বিন মর্তুজা, শাহাদাত হোসেন, কামরুল ইসলাম রাবি হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন হালের আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদরা।
বর্তমান টেস্ট দলে এই তিনজনই নির্বাচকদের পছন্দের তালিকায় উপরের দিকে। আবু জায়েদ রাহি জানালেন সিলেট বিভাগের এক সাথে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার ফলেই নিজের মধ্যে জুটি বেঁধে বল করা কিংবা সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে বর্তমানে চট্টগ্রামে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ। আজ (২৯ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে এক ভিডিও বার্তায় রাহি জানালেন এবাদত, খালেদের সাথে উঠে এসে একইসাথে জাতীয় দলের টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা করে নেওয়ার পেছনের কারণ।
২৭ বছর বয়সী এই পেসার বলেন,
‘এইদিক থেকে প্রথমে সিলেট ডিভিশনকে ধন্যবাদ জানাতে হবে আমাদের। কারণ হল সিলেট ডিভিশন যখন আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি তখন আমাদের অনেক প্রায়োরিটি দেয়। অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা তিনটা পেস বোলারই খেলতাছি, অনেক সময় বোলিং করতেছি। আমি আগেও বলছি যত বেশি বোলিং করব তত বেশি শিখব।’
‘এবাদত, খালেদ আগে ওরা বেশি বোলিং করতে চাইতো না এখন যেইটা হয়েছে আমরা যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি তখন আমরা চাই অনেক বোলিং করতে। নিজেদের ভেতরে একটা প্রতিযোগিতা আছে। এজন্য আমরা মনে করব যে আমরা এই তিন পেস বোলার স্পেশালি টেস্টে আসার কারণ হলো সিলেট ডিভিশনে আমাদের প্রায়োরিটিটা। আমাদের প্রায়োরিটির জন্যই আমরা তিনজন এই জায়গায়।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনেকদিন ধরে একসাথে খেললেও জাতীয় দলের হয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি তিনজনের কেউই। চোট, বাংলাদেশের সংখ্যা কম হওয়াইয় এমনিতে সুযোগ হয় কম তার উপর করোনা প্রভাবে প্রায় এক বছর জাতীয় দলের হয়ে খেলা হয়নি।
তবে করোনার সময়টায় খেলা না থাকলেও সিলেটে একসাথে তিনজনই চালিয়ে গেছেন অনুশীলন। খেলা কবে ফিরবে এমন নিশ্চয়তাকে পেছনে ফেলে নিজেদের কাজ এগিয়ে রাখতে চেয়েছেন এই পেস ত্রয়ী।
রাহি বলেন,
‘এত দীর্ঘ সময় অনুপ্রেরণা বলতে গেলে নিজেদের মাঝে অনুশীলন করেছি আর অনেক সময় সিলেট স্টেডিয়ামে আমরা আমাদের অনুশীলন চালিয়ে গেছি আমি, এবাদত ও খালেদ। তো আমরা চেষ্টা করেছি অন্তত যখন ক্রিকেট শুরু হবে তখন আমাদের বোলিংয়ের ওভারলোড আছে যেন হাই থাকে। এটাই আমরা চেষ্টা করেছি। আর কবে ক্রিকেট শুরু হবে না হবে এটা নিয়ে চিন্তা করিনি। আমরা চেষ্টা করছি আমরা আমাদের প্রক্রিয়াতে এগোনোর জন্য।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিযে শুরুটা ভালো করতে চান ডানহাতি এই পেসার,
‘সর্বশেষ ফেব্রুয়ারিতে আমরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে শেষ টেস্ট খেলছিলাম তারপর প্রায় একবছর পর টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে। হ্যাঁ, অনেক দিন অপেক্ষায় ছিলাম কারণ অনেক দিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট হয়নি। এখন আবার ক্রিকেট শুরু হয়েছে, টেস্ট ক্রিকেট শুরু হয়েছে। আমরা যদি শুরুটা ভালো করি তাহলে আমার কাছে মনে হয় আমাদের শুরুটা ভালো হবে।’