

১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে সাকিব আল হাসানের স্বপ্নের ‘মাসকো সাকিব ক্রিকেট একাডেমি’র ভর্তি কার্যক্রম। আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ফরম জমা দেওয়া যাবে। তবে ইতোমধ্যে ফরম নিতে যোগাযোগ করে একাডেমির মাসিক ফি জানার পর হতাশ হচ্ছেন অনেক অভিভাবকই।
রাজধানীর অদূরে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের কাঞ্চনে গড়ে উঠেছে সাকিব আল হাসানের স্বপ্নের প্রকল্প। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বেশ কয়েক বছর ধরেই একটি বিশ্বমানের ক্রিকেট একাডেমি করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
মাসকো গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠা এই একাডেমিতে আছে বিশ্বমানের সকল সুযোগ সুবিধা। উন্নতমানের জিম, গ্রাউন্ড, আবাসিক ব্যবস্থা, ইনডোর, আউটডোরের সুবিধা থাকবে ভর্তি হওয়া ক্রিকেটারদের জন্য। ভর্তিচ্ছুক ক্রিকেটারের জন্য নেই নির্দিষ্ট কোন বয়স সীমা।
তবে চাইলেই ভর্তি হওয়া যাবে বিষয়টা এমন নয়। ভর্তি ফরম জমা দেওয়ার পর নিজ নিজ প্রতিভার জানান দিয়েই উতরাতে হবে বাছাই পর্ব। দেশ বরেণ্য কোচ সাকিব আল হাসানের গুরু মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের তত্বাবধানে হবে বাছাই পর্ব। একাডেমিটির দেখভালেও থাকছেন তিনি।
তবে বাছাই পর্ব উতরে গেলেও মাসিক ফি এর কারণে পিছু হটতে হতে পারে অনেককেই। ভর্তি ফরম ফ্রি হলেও টিকে গেলে ভর্তি হতে খরচ করতে হবে ২৫ হাজার টাকা। এরপর প্রতি মাসে বেতন হিসেবে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা। আর ক্রিকেটার যদি একাডেমির আবাসিক সুবিধা নিতে চান সেক্ষেত্রে মাসিক ফি হবে ২৫ হাজার টাকা।
যদিও ফি সম্পর্কে গণমাধ্যমের সাথে এখনই কথা বলতে নারাজ একাডেমির ম্যানেজার হিরন। ‘ক্রিকেট৯৭’ এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আমাদের ফরম পাওয়া যাবে। ৩০ জানুয়ারি ফরম জমা দেওয়ার শেষ সময়। এরপর আমাদের কোচরা যাছাই বাছাই করবেন। ভর্তি ফি কিংবা টাকা পয়সার ব্যাপারটি আসবে পরে।’
তবে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন আগ্রহীকে ভর্তি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন তিনি। যেখানে স্পষ্ট করেই উল্লেখ করেছেন আর্থিক বিষয়গুলোও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পেস বোলার ‘ক্রিকেট৯৭’ কে বলেন, ‘আমি কথা বলেছি তাদের সাথে। বলল ফরম নেওয়ার জন্য। ফরম কিনতে কোন টাকা না লাগলেও ভর্তি হতে ২৫ হাজার টাকা লাগবে। আমি আবাসিক সুবিধা না নিলে মাসিক ফি ১০ হাজার আর আবাসিক সুবিধা নিলে মাসিক ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে।’
বিশ্বমানের সুবিধা প্রদান করা হলেও এত বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে অনেকেরই ভর্তি হওয়া সম্ভব হবে না বলে মত তার, ‘আসলে সবার জন্য এটা হয়তো সম্ভব হবে না। সাকিব আল হাসানের একাডেমি বলে আগ্রহীর সংখ্যা কম হবে না, ভর্তিও হয়তো হবে অনেক বেশি। কিন্তু এই অর্থ ব্যয় করে কোন প্রকৃত প্রতিভাবান ক্রিকেটার হয়তো সেখান পর্যন্ত নাও পৌঁছাতে পারে।’
গণমাধ্যমকে আর্থিক কোন বিষয়ে জানাতে না চাইলেও অন্য এক অভিভাবককে একাডেমির ম্যানেজার জানান আধুনিক সব সুবিধা দেওয়া হবে বলেই খরচের পরিমাণ বেশি পড়বে। ঐ অভিভাবককে তিনি বলেন, ‘শুরুর ২৫ হাজার টাকা পুরোটাই ভর্তি ফি। আবাসিকে আমাদের উন্নত সুযোগ-সুবিধা। এজন্য ২৫ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। মাসিক বেতন ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা।’