

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে মর্যাদার ফরম্যাট টেস্ট। অনেকের খুব অল্প বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়, সাদা পোশাকে খেলার জন্য অনেকের আবার অপেক্ষা করতে হয় লম্বা সময়। কেউ কেউ তো আবার কৈশরেই সাদা পোশাকে খেলার স্বাদ পেয়ে যায়।
টিনেজার হিসাবে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হওয়া ক্রিকেটার যারা কিনা পরবর্তীতে সেরাদের সেরা হয়েছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে উইজডেন বেছে নিয়েছে সেরা একাদশ। একাদশের নাম দেওয়া হয়েছে উইজডেন টিনেজ রায়েট টেস্ট একাদশ।
এই একাদশে সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। বর্তমানে খেলে যাচ্ছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে মুশফিক ছাড়া একাদশে আর আছেন কেবল অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স।
একাদশে প্রথাগত ওপেনার রাখতে পারেনি উইজডেন। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় ৩ নম্বরে খেলা নেইল হার্ভে করবেন ওপেন। ১৯৪৮ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় তার।
ওপেনিংয়ে হার্ভের সঙ্গী সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। ১৬ বছর বয়সে ১৯৮৯ তারকা সমৃদ্ধ পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল শচীনের, খেলে গেছেন ২০১৩ অব্দি।
তিনে নামবেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ডেনিস কম্পটন। বে ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ বছর বয়সে অভিষেক হয় তার। ১৯৩৯ সালে তিনি হয়েছিলেন উইজডেন ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার।
বিংশ শতাব্দীতে নিউজিল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন মার্টিন ক্রো। অল্প বয়সে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করা ক্রো ছিলেন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান, এই একাদশে তিনি নামবেন চার নম্বরে।
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বাহাতি ব্যাটসম্যান গ্রায়েম পোলক। ১৯ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হওয়া পোলক খেলতে পেরেছেন কেবল ২৩ টেস্ট। ৭ বছরের ক্যারিয়ারে ৬০ এর বেশি গড়ে করেছেন ২২৫৬ রান।
সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার গ্যারি সোবার্স নামবেন ৬ নম্বরে। ১৮ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হওয়া সোবার্স টেস্টে করেছেন ৮০৩২ রান, নিয়েছেন ২৩৫ উইকেট।
৭ নম্বরে নামবেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ৩৩ বছর বয়সী মুশফিক এখনো খেলে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান এই একাদশের উইকেটরক্ষক। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একাধিক ডাবল সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটসম্যান মুশফিক।
সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ইমরান খান এই একাদশের অধিনায়ক। টিনেজার হিসাবে অবশ্য কেবল ১ টি টেস্ট খেলেছেন ইমরান খান। ৯ টেস্ট শেষে তার ব্যাটিং গড় ছিল ২২, বোলিং গড় ছিল ৪৩। যা পরবর্তীতে পুশিয়ে দেন। শেষ ৫৩ ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৫৩, বোলিং গড় ১৯।
অনিল কুম্বলে, ওয়াসিম আকরাম ও প্যাট কামিন্স আছেন বোলিং আক্রমণে। ২০ বছর বয়স হবার আগে ৬১৯ টেস্ট উইকেট নেওয়া কুম্বলে খেলেছিলেন মাত্র ১ টেস্ট। টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল বাহাতি পেসার ওয়াসিম আকরাম মাত্র ১৮ বছর বয়সেই নিজের ২য় ম্যাচে ১০ উইকেট নেন। টেইল এন্ডে ব্যাট করে ডাবল সেঞ্চুরি (২৫৭) ও আছে তার।
১৮ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হবার পর ৬ বছজর টেস্ট খেলা হয়নি প্যাট কামিন্সের। ২০১৭ সালে আবার টেস্ট দলে ফিরে আর পেছনে তাকাতে হয়নি তার। ৩২ ম্যাচে ৬১ ইনিংসে ১৫৩ উইকেট নেওয়া কামিন্স অজিদের তুরুপের তাস।
উইজডেনের টিনেজ রায়েট টেস্ট একাদশ-
নেইল হার্ভে (অস্ট্রেলিয়া), শচীন টেন্ডুলকার (ভারত), ডেনিস কম্পটন (ইংল্যান্ড), মার্টিন ক্রো (নিউজিল্যান্ড), গ্রায়েম পোলক (দক্ষিণ আফ্রিকা), গ্যারি সোবার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ, উইকেটরক্ষক), ইমরান খান (পাকিস্তান, অধিনায়ক), অনিল কুম্বলে (ভারত), ওয়াসিম আকরাম (পাকিস্তান) ও প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)।