• জুন ১০, ২০২৩

স্থায়ী রূপ পেয়েছে শফিউলের পিঠের চোট

featured photo1 60
Vinkmag ad

পেসার শফিউল ইসলামের পিঠের চোট স্থায়ী রূপ পেয়েছে। যতদিন খেলবেন ততদিন এটি বয়ে বেড়াতে হবে। বেশ সতর্কতার সাথেই খেলতে হবে তাকে। এমন পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের মাঝপথে ছিটকে যান চোটে পড়ে। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে তার ফেরাটা নির্ভর করছে ভিন্ন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায়। তাকে ইনজেকশন প্রয়োগের পরিকল্পনা সাজিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবির) মেডিকেল টিম।

সাম্প্রতিক সময়ে চোটে পড়া ক্রিকেটারদের তালিকাটা বেশ লম্বাই। মুমিনুল হক, নাইম হাসানদের করাতে হয়েছে অস্ত্রোপচার। পায়ে চোট পেয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে ছিটকে যাওয়া পেসার আবু জায়েদ রাহি অপেক্ষায় পুরোদমে ফিট হওয়ার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে বলেই মুমিনুল, নাইম, রাহিদের নিয়ে বাড়তি চিন্তা ছিল। তবে ইতোমধ্যে অস্ত্রোপচার করানো মুমিনুল, নাইম দ্রুতই ফিরবেন বলে বিশ্বাস বিসিবির মেডিকেল বিভাগের।

অন্যদিকে অস্ত্রোপচার করানোর প্রয়োজন না হওয়া আবু জায়েদ রাহি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বল হাতে নিতে পারবেন বলে আশাবাদী বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীস চৌধুরী।

আজ (২১ ডিসেম্বর) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘রাহি গ্রেড ওয়ান স্ট্রেইনে ভুগছিল। আমরা গতকালও রিভিউ করেছি ওর সমস্যাটা। রাহির আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা আশা করছি ও পুরো বোলিং ফিটনেস ফিরে পাবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ওকে পুরো ফিট পাওয়া যাবে।’

অন্যদিকে শফিউল ইসলামকে শীঘ্রয়ই ইনজেকশন প্রয়োগ করে ম্যাচ খেলার মত ফিট করে তোলার কথা উল্লেখ করে দেবাশীস চৌধুরী যোগ করেন, ‘শফিউলের পিঠের সমস্যাটা তাকে মাঠে এবং মাঠের বাইরেও ভোগাচ্ছে। একটা লম্বা সময়ের জন্য কিন্তু ও সার্ভিস দিতে পারছেনা। এবার তার জন্য যে রিহ্যাব প্ল্যানটা ঠিক করেছি তাতে তাকে ইনজেক্টেবল করার প্ল্যান আছে।’

‘এ কারণে আমরা চেষ্টা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে কিংবা দেশের বাইরে কোথাও ওকে ইনজেকশনটা প্রয়োগ করবো। ইনজেকশন ব্যবহারের পর কি রকম আউটপুট হয় তা দেখার পর… যদি ইনজেকশন ভালো কাজ করে আশা করছি ও আগামী দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে বোলিং ফিটনেস ফিরে পেতে পারে।’

কাঁধের চোটে যুব বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়া পেসার মৃত্যুঞ্জয় এতদিনেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ায় সফল অস্ত্রোপচারের পর করোনা পরিস্থিতির কারণে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় পিছিয়ে পড়তে হয় বাঁহাতি এই পেসারকে। নতুন করে শুরু হয়েছে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াও।

এ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক জানান, ‘মৃত্যুঞ্জয়ের কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর কোভিড পরিস্থিতির কারণে ওর রিহ্যাবটা কিছুটা বাঁধাগ্রস্থ হয়েছিল। এখন পুরো দমে ওর রিহ্যাব প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেহেতু প্রথম রিহ্যাব প্রক্রিয়াতে কিছুটা বাঁধাগ্রস্ত হয়েছিল তাই ওর ফিরে আসার সময়টা আরও একটু দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সে খেলার ফিটনেস ফিরে পাবে।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

হায়দার-শফিকদের ওপর ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

Read Next

বাংলাদেশে যেমন হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোভিড প্রটোকল

Total
5
Share