

২৪ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৮ ডিসেম্বর পর্দা নেমেছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেছেন অনেকেই। চ্যাম্পিয়ন, রানার আপ দল ও পারফর্মাররা পেয়েছেন পুরস্কার।
চ্যাম্পিয়ন জেমকন খুলনার প্রত্যেক ক্রিকেটার পেয়েছেন ১,৫০,০০০ টাকা করে। রানার আপ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের প্রত্যেক ক্রিকেটার পেয়েছেন ৭৫,০০০ টাকা করে।
টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার পেয়েছেন ৩,০০,০০০ টাকা, ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার পেয়েছেন ১,০০,০০০ টাকা। টুর্নামেন্ট সেরা ব্যাটসম্যান ও বোলার পেয়েছেন ২,০০,০০০ টাকা করে। এছাড়া ৪ জন ক্রিকেটার স্পেশাল পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১,০০,০০০ টাকা করে।
View this post on Instagram
ম্যান অব দ্য ফাইনালঃ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (জেমকন খুলনা)
ফাইনালে মনে রাখার মত ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের বিপর্যয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৮ বলে ৮ চার ও ২টি বিশাল ছক্কার সহায়তায় অপরাজিত ৭০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে ফাইনালের নায়ক বনে যান জাতীয় দলের এ সাইলেন্ট কিলার অলরাউন্ডার। তার এ দুর্দান্ত ইনিংসের সাহায্যে জেমকন খুলনা প্রথমে ব্যাট করে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে এবং পরবর্তীতে ৫ রানের জয় পেয়ে শিরোপা লাভের গৌরব অর্জন করে।
View this post on Instagram
টুর্নামেন্ট সেরা ব্যাটসম্যানঃ লিটন কুমার দাস (গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম)
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন লিটন কুমার দাস। রানারআপ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে ১০ ম্যাচে ৪৯.১২ গড় এবং ১১৯.৪৫ স্ট্রাইক রেটে ৩টি অর্ধশত রানসহ ৩৯৩ রান করেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। অপরাজিত ৭৮ রান এক ইনিংসে সর্বোচ্চ।
View this post on Instagram
ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট এবং টুর্নামেন্ট সেরা বোলারঃ মুস্তাফিজুর রহমান (গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম)
টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার এবং একইসাথে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। গতি, স্লোয়ার এবং অফ কাটারের চমৎকার মিশ্রণে এবার দারুণ ভেল্কি দেখিয়েছেন জাতীয় দলের এ বামহাতি বোলার। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে ১০ ম্যাচে ৩৮.৫ ওভার বোলিং করে ১১.০৪ গড় এবং ৬.২৫ ইকোনমিতে ২২ উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। ৫ রানে ৪ উইকেট প্রাপ্তি তার সেরা বোলিং ফিগার।
View this post on Instagram
স্পেশাল পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড (৪ জন):
নাজমুল হোসেন শান্ত (মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী)
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে ৫৫ বলে রেকর্ড ১১ ছক্কায় ১০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার এ সেঞ্চুরি স্পেশাল পারফরম্যান্স হিসেবে নির্বাচিত হয়।
পারভেজ হোসেন ইমন (ফরচুন বরিশাল)
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিকে কড়ায় গণ্ডায় উসুল করে দেন ফরচুন বরিশালের পারভেজ হোসেন ইমন। মাত্র ৪২ বলে ৯ চার ও ৭ ছক্কায় অপরাজিত ১০০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে বীরের বেশে দলকে জয় এনে দেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এ ব্যাটসম্যান। তার এ ইনিংস স্পেশাল পারফরম্যান্স হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
রবিউল ইসলাম রবি (বেক্সিমকো ঢাকা)
ব্যাটিংয়ে নয়, বোলার হিসেবে টুর্নামেন্টে জাদু দেখিয়েছেন বেক্সিমকো ঢাকার অফ স্পিনার রবিউল ইসলাম রবি। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৪ উইকেট প্রাপ্তির পর জেমকন খুলনার বিপক্ষে ২৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স উপহার দেন রবি। তার এ চমকপ্রদ বোলিং ফিগার স্পেশাল পারফরম্যান্স হিসেবে বিবেচিত হয়।
শরিফুল ইসলাম (গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম)
সতীর্থ মুস্তাফিজুর রহমানের পর টুর্নামেন্টে বোলিংয়ে সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফর্মার ছিলেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বামহাতি ফাস্ট বোলার শরিফুল ইসলাম। ১০ ম্যাচে ১৯ গড়ে ১৬ উইকেট নেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এ তরুণ গতি তারকা। ২ বার ৩টি করে উইকেটও নেন তিনি। মূলত ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের বদৌলতে টুর্নামেন্টের স্পেশাল পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড পান।