

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি বেক্সিমকো ঢাকা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আজ (১৫ ডিসেম্বর) টস জিতে আগে ব্যাট করা ঢাকা অল আউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে মাত্র ১১৬ রান।
এলিমিনেটরে ফরচুন বরিশালকে ৯ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলছে বেক্সিমকো ঢাকা। এদিনও টস জিতে ব্যাট নেওয়া মুশফিকুর রহিমের ঢাকা পুরো টুর্নামেন্টের মত উদ্বোধনী জুটিতে ভিন্নতা এনেছে। উদ্বোধনী জুটিতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেককে দিয়ে চেষ্টার পর আজ সাব্বির রহমান ও মুক্তার আলিতে বাজি ধরে বেক্সিমকো।
তবে ব্যর্থ হয়েছেন দুজনেই, উদ্বোধনী জুটিতে আসেনি ১৯ রানের বেশি। সাব্বির ১১ রান করে শরিফুলের বলে ফিরেছেন সৈকত আলিকে ক্যাচ দিয়ে। নাহিদুল ইসলামের বলে ফেরার আগে মুক্তার ছুঁতে পারেনিনি দুই অঙ্কও (৭)।
১৯ রানে দুই উইকেট হারানো ঢাকাকে বিপর্যয়মুক্ত করার চেষ্টা নাইম শেখ ও মুশফিকুর রহিমের। দুজনের ৩১ রানের জুটি থামে ১২ রান করে নাইম বিদায় নিলে। ৯ম ওভারের তৃতীয় বলে নাইম আউট হওয়ার পর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইটের আলো বন্ধ হয়ে যায়। আক্ষরিক অর্থে ঢাকার ইনিংসও এরপর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়।
১২ মিনিট পর খেলা শুরু হলেও ঢাকার ইনিংসে আলোর দেখা মিলেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে করতে পেরেছে ১১৬ রান। মাঝে মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলি রাব্বি ও আল আমিন জুনিয়র খেলেছেন কিছু ছোট ছোট ইনিংস। যৌথভাবে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস (২৫) আসে মুশফিক ও আল আমিন জুনিয়রের ব্যাট থেকে। ২৪ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে ফিরেছেন ইয়াসির আলি রাব্বি।
চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ নিজের শেষ ওভারে টানা দুই বলে আল আমিন ও নাসুম আহমেদকে ফিরিয়ে জাগিয়েছেন হ্যাটট্রিক সম্ভাবনাও। মুস্তাফিজের তিন উইকেটের সাথে ২ উইকেট শিকার আরেক বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম ইনিংস শেষে):
বেক্সিমকো ঢাকা ১১৬/১০ (২০), সাব্বির ১১, মুক্তার ৭, নাইম ১২, মুশফিক ২৫, ইয়াসির ২৪, আল আমিন ২৫, আকবর ২, রবি ৩*, নাসুম ০, রুবেল ২, শফিকুল ০; শরিফুল ৪-০-১৭-২, রাকিবুল ৪-০-২৬-১, নাহিদুল ৪-০-১৫-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৩২-৩, মোসাদ্দেক ৩-০-২২-১, সৌম্য ১-০-৩-১।