

নিষেধাজ্ঞা শেষে সাকিব আল হাসানের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হয়েছে চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে। ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন কিংবা নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য টি-টোয়েন্টি নিশ্চিতভাবেই উপযুক্ত মঞ্চ নয়। তবে সাকিব বলেই প্রত্যাশার পারদটা বেশিই ছিল ভক্ত সমর্থকদের। কিন্তু জেমকন খুলনার হয়ে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব, ব্যাটে বলে ঠিক সাকিবসুলভ পারফরম্যান্সের দেখা মিলেনি তার খেলা ৯ ম্যাচে।
দলটির কোচ মিজানুর রহমান বাবুল বলছেন সাকিব ভালো গঠনে আছে, তবে আক্ষেপ আছে তার ওয়ানডে কিংবা চারদিন ফরম্যাট দিয়ে ফিরতে না পারার। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে খুব বেশি অনুশীলনের সুযোগ না পাওয়াও নিজেকে মেলে ধরতে না পারার কারণ বলে মনে করেন বাবুল।
শশুরের গুরুতর অসুস্থতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ায় ফাইনালে সাকিবকে পাচ্ছে না জেমকন খুলনা। তবে কোয়ালিফায়ার সহ ৯ ম্যাচে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১১০ রান, উইকেট ৬ টি।
সাকিবকে সেরা ছন্দে না থাকার কারণ জানাতে গিয়ে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) মিরপুরে গণমাধ্যমকে জেমকন কোচ বলেন, ‘আসলে সাকিব অনেকদিন পর খেলতে আসছে। তার শাস্তির পর অনেকদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিল। তো সেক্ষেত্রে এখানে এসে। অনেকক্ষেত্রে ম্যাচ খেলা আর প্র্যাকটিস আলাদা। তাও ওভাবে সে প্র্যাকটিস করেনি।’

‘শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে (পরবর্তীতে স্থগিত হয়) বিকেএসপিতে এসে প্র্যাকটিস করেছে। ঐভাবে প্রস্তুতিটা হয়ত সাকিবের ছিল না। এবং ম্যাচ প্রিপারেশন আলাদা এক ব্যাপার। তো সাকিব ঐ টোনে না থাকার কারণে হয়তো সে তার ন্যাচারাল ফর্মে ফিরে আসতে পারেনি।’
এক বছরের বিরতি শেষে মাঠে ফিরে খাপ খাওয়াতে ওয়ানডে কিংবা চারদিনের ফরম্যাট প্রয়োজন ছিল বলে সাকিব জানিয়েছেন কোচকে। এ প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘এটা সময় নিবে হয়তো। তারপরেও সে বলছিল যদি আমি একটা ফোর ডে বা ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে পারতাম তাহলে আমি আমার টোনে আবার ফিরে আসতে পারতাম।’
‘এসেই (নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে) টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, তাই কিছুটা সময় তার লাগছিল তার টোনে ফিরে আসতে। অবশ্যই, আরো যদি কিছু ম্যাচ সামনে আসে। অবশ্যই সে তার ফর্মে ফিরে আসবে। সে টোনে আসছিল।’
এদিকে ফাইনালে সাকিবকে না পাওয়াটা নিজেদের জন্য ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বাবুল যোগ করেন, ‘অবশ্যই (সাকিবের না থাকা অ্যাফেক্ট করবে)। সাকিব আল হাসান ইজ সাকিব আল হাসান। দলে সাকিব আল হাসান থাকা মানে প্রতিপক্ষ দলের ওপর চাপ আসে। অবশ্যই আমাদের দলের জন্য একটা কমতি থাকবে যে একটা লেফট আর্ম স্পিনার, একজন ব্যাটসম্যান, একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় চলে যাচ্ছে।’
‘দিনশেষে কিন্তু পরিবার পরিবারই। পরিবার আগে, তারপর হল খেলাধুলা। আমিও বলব পরিবার আগে দেখতে হবে তারপর খেলতে হবে। সাকিব গিয়েছে, আশা করি যে উদ্দেশ্যে গিয়েছে সেটা সফল হবে। দোয়া করি তার শশুর যাতে ভাল হয়, তার সুস্থতা কামনা করছি।’