

বেক্সিমকো ঢাকার কাছে হেরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিল তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে আছে ঢাকা। কিন্তু জয়ের পরও নিজেদের ফিল্ডিং নিয়ে হতাশ ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এলিমিনেটর ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব মুশফিক দিলেন ফিফটি করা ইয়াসির আলি রাব্বি, আকবর আলি ও বোলারদের।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৯ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে রইল বেক্সিমকো ঢাকা।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে দারুণ কিছু করে দেখাতে পারেনি বেক্সিমকো ঢাকা। বরং অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্ম দিতে যাচ্ছিলেন মুশফিক নিজেই। তবুও ফিল্ডিং নিয়ে হতাশা ঝড়লো মুশফিকের কণ্ঠে। আগামী ম্যাচের পরিকল্পনা এখনই করে রেখেছে মুশফিকের ঢাকা।
‘আমি সত্যিই হতাশ ফিল্ডিং নিয়ে। কিন্তু এটা খেলারই অংশ। কিন্তু বোলাররা এই ছোট লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে গিয়ে সবসময়ই সুযোগ তৈরি করেছে এটা ইতিবাচক দিক। আমি মনে করি আমাদের ভালো আত্ববিশ্বাস আছে আগামীকালকের ম্যাচের জন্য। আশা করি আমরা ভালো কিছু প্ল্যান নিয়ে এগোবো যা মাঠেও প্রয়োগ করতে পারবো প্রথম ৬ ওভারে ইন শা আল্লাহ।’
ইয়াসির আলি রাব্বি আর আকবর আলির ব্যাটে শেষ ৬ ওভারে বেক্সিমকো ঢাকা স্কোরবোর্ডে তুলে ৬৬ রান। ইয়াসির ৪৩ বলে ৫৪ রান করে আউট হন। আর আকবর করেন ৯ বলে ২১। বোলারদের পাশাপাশি জয়ের কৃতিত্ব এই দুই ব্যাটসম্যানকে দিতে ভুল করেননি অধিনায়ক মুশফিক।
‘হ্যাঁ আমি ভেবেছিলাম উইকেট বাটিংয়ের জন্য দারুণ হবে। যখন আমরা দুই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলি তখন বুঝা যাচ্ছিল উইকেটে টার্ন আছে, সুইং আছে। কিন্তু যখন উইকেট না হারিয়ে ভালো করবে তখন মনে হবে উইকেট ফ্ল্যাট। সুতরাং উইকেট নিয়ে আমি কোন অভিযোগ করতে চাইনা। আমরা যে লক্ষ্য দিয়েছি তা ভালো স্কোরই বলতে হয়। আমি মনে করি রাব্বি দারুণ ব্যাট করেছে, আকবর ছোট্ট একটা ক্যামিও দেখিয়েছে, আর জয়ের জন্য আমাদের বোলারদেরও কৃতিত্ব দিতে হয়।’
প্রতিপক্ষ বরিশালের ওপেনার তামিম ইকবালকে দ্রুত ফেরানোর পরিকল্পনা ছিল মুশফিকদের। কাজেও এসেছে প্ল্যান, বরিশাল অধিনায়ক তামিমের ব্যাটে ২৮ বলে ২২ রান। মুশফিকের বক্তব্য,
‘আমরা জানি এটা নক আউট গেম, চাপ থাকবে যখন আপনি রান তাড়া করতে নামবেন। আমাদের লক্ষ্য ছিল তামিমকে দ্রুত ফেরানো কারণ তাদের মিডল অর্ডার অনভিজ্ঞ ছিল।’