

তারকা সমৃদ্ধ দল হয়েও পুরো টুর্নামেন্টে লিগ পর্বে ব্যাট হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি জেমকন খুলনার টপ অর্ডার। তবে ফাইনাল নিশ্চিতে ১ম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে টপ অর্ডারের গড়ে দেওয়া ভীত কাজে লাগিয়ে সোমবার গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিল খুলনা।
ওপেনার জহরুল ইসলামের ৮০ রানের ইনিংসের সাথে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, ইমরুল কায়েসদের ছোট তবে কার্যকরী ইনিংসে ৭ উইকেটে ২১০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় জেমকন খুলনা।
পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান তোলা খুলনা প্রথম ৯ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা করে ৬৭ রান। জহরুল ইসলাম এক প্রান্তে স্ট্রোক খেললেও অন্যপ্রান্তে ধীর গতিতে খেলেন জাকির হোসেন। ২২ বলে ১৬ রান করে জাকির রান আউটে ফিরলে ভাঙে ৭১ রানের জুটি। ততক্ষণে ফিফটি তুলে নেন জহরুল।
ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ২ চার ১ ছক্কায় ঐ ওভার থেকে নেন ১৪ রান ১০ ওভার শেষে খুলনার স্কোরবোর্ডে ১ উইকেটে ৮৫ রান। জহরুলকে নিয়ে ঝড়ো গতিতে রান তোলার শুরু সেখান থেকেই।
দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ২৪ বলে ৪৮ রান। ১২ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ২৫ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে ফিরেছেন ইমরুল। ইমরুল বিদায় নিলেও সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন জহরুল। কিন্তু ১৫তম ওভারের শেষ বলে স্কুপ খেলতে গিয়ে সৈকত হালির হাতে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক হোসেনের বলে।
তার আগে খেলেছেন ৫১ বলে ৫ চার ৪ ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস। ১৫ ওভার শেষে ৩ উইকেটে খুলনার স্কোরবোর্ডে ১৩৩। ক্রিজে আসা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঝড় বয়ে দেন নিজের খেলা প্রথম ওভারেই। ১৬ তম ওভারে শরিফুল ইসলামকে টানা তিন ছক্কায় শুরু, ঐ ওভার থেকে আসে ২২ রান। পরের ওভারে সঞ্জীত সাহাকে হাঁকান টানা দুই চার। ৯ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৩০ রানের ক্যামিও খেলে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ।
এদিন কিছুটা হলেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পেরেছেন সাকিব আল হাসান। টুর্নামেন্টে এর আগে সর্বোচ্চ ১৫ রান করা, সাকিব এদিন খেলেছেন ১৫ বলে সমান ২ চার ২ ছক্কায় ২৮ রানের ইনিংস। মুস্তাফিজের করা ইনিংসের শেষ ওভারে বোল্ড হয়েছেন সাকিব।
মাঝে আরিফুল হকের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১৫ রান। শেষ পর্যন্ত জেমকন খুলনা তুলেছে ৭ উইকেটে ২১০ রান। শেষ ১০ ওভারে খুলনার স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ১২৫ রান। শেষ ওভারে দুইটি বিমার দেওয়া ৪ বলের পর সরে যাওয়া মুস্তাফিজ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের সেরা বোলার। ৩১ রান খরচায় নিয়েছেন দুই উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম ইনিংস শেষে):
জেমকন খুলনা ২১০/৭ (২০), জহুরুল ৮০, জাকির ১৬, ইমরুল ২৫, সাকিব ২৮, মাহমুদউল্লাহ ৩০, আরিফুল ১৫, শুভাগত ০*, শামীম ১, মাশরাফি ৬*; সঞ্জিত ৪-০-৫০-১, মুস্তাফিজ ৩.৪-০-৩১-২, মোসাদ্দেক ৪-০-২৭-১